দিলোয়ার হোসাইন,বানিয়াচং প্রতিনিধিঃ বানিয়াচংয়ে কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে গবাদি পশু মহিষ । একে একে যেন কৃষকের সব কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে। এ যেন এক স্বপ্ন ছোঁয়ার হাজারির মত। নানান ভাবে বিলুপ্ত হচ্ছে কৃষকের অনেক স্বপ্ন ছোঁয়ার জিনিস। তেমনই ভাবে প্রায় সব খানেই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে আদিম যুগের গবাদি পশু মহিষ। কারন আগেকার যুগে প্রায় প্রত্যেকের ঘরেই গোয়াল ভরা গরু-মহিষ ছিল, গোয়াল ভরা ধান ছিল। এ যেন ছিল এক স্বপ্নের রাজমহল। সুখে শান্তিতে ছিল রাজকীয় জীবন যাপন। কিন্তু আজকাল দিন দিন যেন সব কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। বিলুপ্ত হচ্ছে আদিম যুগের সকল গবাদি পশু সহ নানান তৈজসপত্র।
এভাবেই বানিয়াচংয়ে ও যেন হারিয়ে যাচ্ছে আদিম যুগের সকল জিনিস। হারিয়ে গেছে গবাদি পশু মহিষও। কিন্তু বানিয়াচংয়ে এখনও সেই আগেকার দিনের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন বানিয়াচং উপজেলার আমীরখানি গ্রামের তোফাজ্জুল চৌধুরী। তার বাড়িতে রয়েছে আদিম যুগের সকল জিনিস পত্র। ধরে রেখেছেন আদিম যুগের সকল পেশাও। তার বাড়িতে রয়েছে আদিম যুগের গবাদি পশু মহিষ, ধান বহন করার মহিষের গাড়ি, গরুর গাড়ি, ফসল উৎপাদন করার লাঙল, ধান মারাই করার সিকল সহ ইত্যাদি নানান তৈজস পত্র। তিনি ধরে রেখেছেন বানিয়াচং এর আদিম যুগের কৃষকের ঐতিহ্য। এবং বানিয়াচং এ ঐতিহ্য বাহ গবাদি পশু মহিষ কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেলে ও রয়েছে তার বাড়িতে।
এ প্রসঙ্গে জনাব তোফাজ্জুল চৌধুরী এর সাথে কথা বললে তিনি প্রথমসেবা ডট কমকে জানান , কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে আদিম যুগের সকল জিনিস পত্র। কিন্তু প্রায় সকল জিনিস পত্র ই রয়েছে আমার বাড়িতে। কারন আমি ধরে রেখেছি আমার বাপ-দাদার ঐতিহ্য। তিনি আরও বলেন কালের বিবর্তনে সব কিছু হারিয়ে গেলে ও আমি আমার বাপ-দাদার ঐতিয্য ধরে রাখার চেষ্টা করব। এবং আমি আমার ছেলে সন্তান কে ও ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য বলে যাব।
Leave a Reply