নুর উদ্দিন সুমন ।। নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি র্যাব ৯- এর পক্ষ থেকে মানবিক কাজের অংশ হিসেবে নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে । হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকাতে অসহায় দিনমজুর, মধ্যবিত্ত, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, এতিমদের এই সংকটময় সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছিয়ে এক মানবিক নজির স্থাপন করলেন র্যাব ৯ – শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ) আনোয়ার হোসেন শামীম। গত (১এপ্রিল) থেকে রাত-দিন নিরলস ভাবে বিভিন্ন ছিন্নমূল মানুষকে ভ্রাম্যমাণ এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন র্যাবের এ কর্মকর্তা । তার নিত্যদিনের মানবিক কর্মকান্ড তুলে ধরেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ভাসছেন প্রশংসায় তিনি। সারাদেশের ন্যায় করোভাইরাসের কারনে সরকারী নির্দেশে মধ্যবিত্ত ও দিন মজুর অধিকাংশ কর্মহীন লোকজন ঘর থেকে বের হতে না পেরে মানববেতর জীবনযাপন করছে ফলে তাদের অনেকের ঘরে খাবারের সংকট দেখা দেয়। খাদ্য সহায়তার আবেদনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরে মানবতার টানে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে তার কর্মকর্তাদের নিয়ে এ উদ্যোগ নেন তিনি। যারা লোকলজ্জায় ত্রান নিতে আসেননা তাদের ঘরের সামনে রেখে দেন তিনি খাদ্য সামগ্রীর ব্যাগ । ঘরের দরজা খুলেই খাদ্য সামগ্রী মিলেছে। এমন বিষয়টি জানালেন শ্রীমঙ্গলের এক দিনমজুর রিক্সা চালক হাসিম, তিনি বলেন, করোনার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে কাজ বন্ধ। ঘরে যে খাবার ছিলো তাও শেষ। চিন্তা করছি আগামি দিন কিভাবে চলবে। কিন্তু আল্লাহ খাদ্য পাঠিয়ে দিয়েছেন। রাতে হঠাৎ বাড়িতে এসে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে যান র্যাবের আনোয়ার স্যার। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক খাদ্যসামগ্রীর ব্যাগ তার কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে মানুষের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। কেউ সকালে দরজা খুলে ঘরের সামনে দেখতে পায় আর কেহ রাতে বের হলেই দেখতে পান খাদ্য সামগ্রী। এমন বেশ কয়েকজন দিনমজুরের সাথে আলাপকালে ওই মানবিক র্যাব অফিসার আনোয়ার হোসেনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কথা জানান। মনজু মিয়া নামের এক দিনমজুর জানান, আমরা এমন র্যাবের অফিসার আমরা প্রথম দেখেছি। র্যাব দেখলে জনসাধারণ এমনিতেই আতঙ্কে থাকে কিন্তু আনোয়ার হোসেন একজন মানবিক অফিসার। র্যাবের ভাবমূর্তি উজ্জল করছেন তিনি । শ্রীমঙ্গল ৯এর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ) আনোয়ার হোসেন শামীম জনসাধরণকে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হতে আহবান জানিয়ে বলেন, কর্মহীন গৃহবন্দী অসহায় দিনমজুরসহ মধ্যবিত্তদেরকে রাতের অন্ধকারে কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি মুল একটাই কারণ আপনারা ঘরে থাকুন। নিরাপদে থাকুন। সুস্থ থাকুন। অপ্রয়োজনে কেউ বাইরে অবস্থান করবেন না। যদি সবাই সরকারি নির্দেশনা মেনে চলেন তবেই করোনার মহামারি থেকে আমরা রক্ষা পাব। আর আমার খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো সার্থক হবে।
Leave a Reply