শেখ মোঃ হারুনুর রশিদ।। হবিগঞ্জের
বাহুবল উপজেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায়,নিজ নিজ ঘরে অবস্থান,জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোনো মানুষ যেন ঘর থেকে বাহির হয় ও ক্রেতাদের কাছ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর নির্ধারিত মূল্য রাখতে সকল ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে সেনাবাহিনী মাইকিং করেছে।শনিবার(৪ এপ্রিল) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম এ আহব্বান জানায়।
এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণপাড় উপজেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেন।এবং সরকারি নির্দেশ অমান্য করে অযথা বাইরে ঘুরাফেরা করায় ১৩ জনকে বিভিন্ন আইনে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও মৌরি গ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তলনের সংবাদ পেয়ে সেখানে গিয়ে বালু জব্দ করা হয়।
দিনব্যাপী চলমান ত্রাণকার্য তদারকি করেন ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)কৃষ্ণপাড় হিমেল রিসেম।এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক কাজী মাহমুদুল হক সুজন।
উপজেলার ভুগলি, মহাশয়ের বাজার, মীরপুর, বশিনা বাজারে মনিটরিং করা হয়। সন্ধ্যার পর তরুণদের বিভিন্ন অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানে, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মোবাইল চালনারত অবস্থায় পাওয়া গেলে তাদের অযথা ঘুরাফেরার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাওয়া হয়। পরিশেষে করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
বাহুবলবাসীর উদ্দেশ্যে ইউএনও বলেন,আমরা দেখতে পারছি দোকানপাট সন্ধ্যার পরেও দীর্ঘক্ষণ খোলা থাকছে, এবং কোন রকম সরকারি নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছেনা। কম বয়সী ছেলেরা বাইরে ঘোরাফেরা করছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে সকলকে অনুরোধ করা হল।
নির্বাহী অফিসার জানান,যেখানেই অভিযোগ সেখানেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।জনগণের স্বার্থে আমাদের শতভাগ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য,বাহুবল উপজেলাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদারের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন,তিনি যোগদানের পর থেকেই বাহুবলবাসীর যে কোনো প্রয়োজনে ঝাপিয়ে পড়েন।চলমান ভয়াবহ মহামারি প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস-সহ সকল প্রকার বিপদ মোকাবিলায় ও তিনি আরো এগিয়ে। খেয়ে না খেয়ে,জীবনের মায়া ত্যাগ করে, নির্ভয়ে উপজেলা বাহুবলবাসীর পাশে আছেন বলে ও জানান অনেকেই।
Leave a Reply