হবিগঞ্জে করোনা প্রতিরোধে নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে বাড়িতে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শহরের চৌধুরীবাজার ও সার্কিট রোড এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এ সময় নিম্ন আয়ের মানুষ ও প্রত্যেক রিকশাচালককে ৫ কেজি করে চাল দিয়ে তাদের বাড়িতে চলে যেতে বলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। জেলা চালকল মালিক সমিতি নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুরোধে এ চাল বরাদ্দ দেয়। এর আগে হবিগঞ্জে করোনা প্রতিরোধে ফার্মেসি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানের ক্রেতাদের নিরাপদ দূরত্বে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন।
বুধবার রাত ১০টায় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ৩ ফিট দূরত্ব রেখে গোলাকার বৃত্ত তৈরির কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।
জেলা প্রশাসকের এ উদ্যোগে সহযোগিতা করে হবিগঞ্জ পৌরসভা। ক্রেতারা যাতে নিরাপদ দূরত্বে থেকে ওষুধ ও অন্যান্য জিনিস কিনতে বাধ্য হন সে জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়। এ সময় প্রত্যেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে রঙ দিয়ে বৃত্ত তৈরি করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী প্রমুখ।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, করোনা প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। এজন্য আমরা রিকশাচালকদের ৫ কেজি করে চাল দিয়ে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। এরপরও যারা বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করবেন তাদের নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে সাধারণ মানুষ ভিড় করছেন। এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা ৩ ফিট দূরত্বে থেকে ক্রয় করতে বাধ্য করতে এ উদ্যোগ নিয়েছি। যারা এ নির্দেশনা মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হবিগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৮৯৫ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনেএকজন। কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে ৪৪ জনের।
Leave a Reply