বাহুবল প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বাহুবলের পল্লীতে বসতঘরে ঢুকে(৬৫)বছর বয়সী আমিনা বেগম নামে এক বৃদ্ধা মহিলাকে দা ও লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন, ঘটনাটি ঘটেছে -১৯- অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কুমেদপুর গ্রামে। জানা যায়, বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামের শওকত আলী ও তার প্রবাসী স্ত্রী আফিয়া বেগম তাদের ছেলে উজ্জ্বলকে সাথে নিয়ে প্রতিবেশী জান্টু মিয়ার মা,আমিনা বেগম(৬৫)কে বেআইনি ভাবে বসতঘরে ঢুকে দা ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ঝান্টু মিয়ার মা ও স্ত্রীর সুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঝান্টু মিয়ার মা আমিনা বেগম(৬৫)কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, সেখানে বাহুবল হাসপাতালের কর্তৃব্যরত ডাক্তার আমিনাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন আমিনা বেগমের মাথায়, চোখের উপরে ও নাকে অসংখ্য আঘাতের চিহৃ রয়েছে। যার ফলে আমিনা বেগমের শরীর থেকে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। এমতাবস্থায় আমিনা বেগমকে আশংকাজনক অবস্থায় হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। আমিনা বেগমকে তার হতদরিদ্র পরিবার হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা করান। কিন্তু গত ২৩ অক্টোবর হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের কর্তৃব্যরত ডাক্তার আমিনা বেগমকে চারপত্র দিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন।আমিনা বেগমের দিনমজুর ছেলে ঝান্টু মিয়া দ্বিগাম্বর বাজারে মানুষের কামকাজ করে কোনভাবে মা ও স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দিনযাপন করে আসছেন। ঝান্টু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন জানান। প্রতিবেশী শওকত আলী ও তার স্ত্রী আফিয়া বেগম তাদের ছেলেকে সাথে নিয়ে বেআইনি ভাবে আমাদের বসতঘরে প্রবেশ করে দা ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করেছে যার কারণে আমার মা,৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা আমিনা বেগমের অবস্থা আশংকাজনক । বাহুবল হাসপাতালে আমিনা বেগমের মেয়ে ও পুত্রবধূ জানান, আমরা গরীব ও অসহায় মানুষ, আমার মাকে উন্নত চিকিৎসা করানোর মত ক্ষমতা আমাদের নেই। আমিনা বেগমের মেয়ে ও ছেলেরা আরও জানান বর্তমানে আমিনা বেগমের অবস্থা খুবই আশংকাজনক উনার হাত পা- শীতল হয়ে আসছে আমিনা বেগমের শরীর এই অবস্থা দেখে আমরা আজ (২৬অক্টোবর) ফের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসছি, হাসপাতালের কর্তৃব্যরত ডাক্তার আমার মা,আমিনা বেগমের অবস্থা আশংকাজনক দেখে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বর্তমানে আমিনা বেগম বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহত আমিনা বেগমের ছেলে ও মেয়েরা জানিয়েছেন এ ঘটনায় শওকত আলী, স্ত্রী আফিয়া বেগম ও তাদের ছেলে উজ্জ্বলকে আসামী করে ঝান্টু মিয়ার স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাহুবল মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ আলমগীর কবির উভয় পক্ষদ্বয়কে সমাধানের সার্থে থানায় আসতে বলেন । কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষ রহস্য জনিত কারনে কোন মুরব্বী না আসায় রবিবার সন্ধ্যায় তারিখ হয়েছে।
Leave a Reply