নিজস্ব প্রতিনিধি : চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের শাইলগাছ এলাকার সরকারি ও কৃষি জমি থেকে এক্সেভেটর দিয়ে ভারী যানবাহন যোগে মাটি পাচার করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে মাটি বহনকারী ড্রামট্রাক ও ট্রাক্টর চলাচলের কারণে পরিবেশ ও রাস্তা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে । এলাকাবাসী ভারী যানবাহন(ড্রামট্রাক) চলাচলে নিষেধ করলে মাটি ব্যবাসায়ীদের সাথে এলাকাবাসীর বাকবিতণ্ডা হয়। দেখা দেয় উত্তেজনা । স্থানীয়রা জানায়, শাইলগাছ এলাকার রাসেল ও তার সহযোগী মাটি ব্যবাসায়ীদের নিয়ে শাইলগাছ এলাকার কতিপয় ব্যক্তির ফসলি জমির মাটি কেটে সেই মাটি ইট ভাটায় বিক্রি করছেন । এ সময় স্থানীয়রা ভারী যানবাহন দিয়ে মাটি পরিবহন করতে নিষেধ করেন। নিষেধ করা নিয়ে মাটি ব্যবাসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ ভারী যানবাহন দিয়ে মাটিবহনে বাধাঁ দেয়ায় শাইলগাছ এলাকার রাসেলের ইন্দনে তার সহযোগী মাটি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে মনির, জাকির সাজিদসহ বেশ কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে চুনারুঘাট থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন। এ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় সংঘর্ষের আশংঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মো: সাহেব আলী মীর বলেন, ড্রামট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহন করায় প্রায় সব রাস্তা জনসাধারণের চলাচলের ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। রাস্তাগুলো দিয়ে প্রতিদিন সংখ্যক শিশু শিক্ষার্থী, সাইকেল, মোটরসাইকেল ও ভ্যানসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচল করে থাকে তাদেরকেও পড়তে হচ্ছে বিপাকে। তা ছাড়া ট্রাক্টর বেপরোয়ভাবে চলাচলের কারণে পাকা রাস্তা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে ধুলোময় পরিণত হয়েছে । অবৈধ ট্রাক্টর ও ড্রামট্রাকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী । এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিডি) খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, আমাদের যে গ্রামীণ যে রাস্তাগুলো রয়েছে নিয়ম ৮ টনের বেশী লোড দেওয়া নিষেধ খাকলেও কেউ তা মানছেনা। বিশেষ করে ইট ভাটার মাটি বহনকারী ট্রাক্টরগুলো বেশি ক্ষতি।
Leave a Reply