শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বন্যায় হবিগঞ্জে ১৬৯ কিলোমিটার রাস্তা ও ৬টি ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্থ ॥ মেরামত করতে খরচ হবে ১৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ॥ কার্যালয়ে তালা বানিয়াচঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ॥ ভাইয়ের হাতে ভাই খুন জেলা বিএনপির দোয়া মাহফিলে জিকে গউছ ॥ শেখ হাসিনার কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারেনি হবিগঞ্জে নবাগত পুলিশ সুপার রেজাউল হক খানের যোগদান চুনারুঘাটে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৩ দাঙ্গাবাজ কারাগারে নুরপুরে ত্রাণ বিতরণকালে জিকে গউছ ॥ যারা অন্যের সম্পদ লুন্ঠন করে তারা দুস্কৃতিকারী, তারা সন্ত্রাসী নবীগঞ্জে যুবক খুন মিরপুর বাজার রণক্ষেত্র ॥ দুুই দিনে ১০ ঘন্টা সংঘর্ষ ॥ আহত ৪ শতাধিক হবিগঞ্জে কমছে পানি ভাসছে ক্ষত চিহ্ন

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাংবাদিক মুক্তাদির চৌধুরী

নুর উদ্দিন সুমন, বার্তা সম্পাদক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৫৩ বার পঠিত

শংকর শীল : আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে চুনারুঘাট পৌরসভার মেয়র পদে প্রার্থী হতে চান ‘৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সংগ্রামী ছাত্রনেতা মুক্তাদির চৌধুরী। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এ লক্ষ্যে তিনি পৌর এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করছেন। একজন সৎ, স্বচ্ছ ও ভোগবাদী রাজনীতির বিপরীতে নীতি নিষ্ঠ রাজনীতিক হিসেবে পৌর এলাকার মানুষের মাঝে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।

রাজনৈতিক পরিমন্ডলে মুক্তাদির চৌধুরীর বেড়ে উঠা। তার পিতা ছিলেন মোজাফফর ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ১৯৮২ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি। তখন তিনি মোজাফফর ন্যাপের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র সমিতি করতেন। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রশ্নে তিনি আপোষহীন।
৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ৮ দলীয় জোট আহুত হরতালের ঘোষণা প্রচারকালে তিনি হামলার শিকার হন। ১৯৮৭ সালে চুনারুঘাট সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তিনি এজিএস প্রার্থী ছিলেন। ‘৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন অকুতোভয়। তার তেজোদ্দীপ্ত বক্তৃতায় ছাত্রছাত্রীরা উদ্বেলিত হত।
১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ৮ দলীয় ঐক্যজোট মনোনীত আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় থাকাকালীন সময়েই তিনি চুনারুঘাটে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলেন। বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তুলেন চুনারুঘাট সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ। গতবছর এ সংগঠনটি ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করে। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণ-আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্র সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন। চুনারুঘাটের ইতিহাসে তিনিই প্রথম কোন ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯৩ সালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্র সমিতি ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে তিনি ছাত্রলীগে যোগদান করেন।এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তৎকালীন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের সামনের কাতারে ছিলেন। একই বছর তিনি গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেছেন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি দৈনিক সংবাদ এর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করেন। ২০০১ সালের অক্টোবর নির্বাচনের সময় তিনি বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলের নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ যে বিঘ্নিত হচ্ছে এর চালচিত্র নিয়ে সংবাদ এ নানা রিপোর্ট প্রকাশ করেন। নির্বাচনের পর সারাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর ৪ দলীয় জোট সরকারের নির্মম নির্যাতন সম্পর্কে রিপোর্ট করেন।

এনিয়ে জাতীয়ভাবে গঠিত গণতদন্ত কমিশনে তিনি স্বাক্ষ্য দিয়েছিলেন। দৈনিক সংবাদ এর প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা দেখতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দক্ষিণাঞ্চল সফরের সফরসঙ্গী ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি ইংল্যান্ড চলে যান। দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে গতবছরের ডিসেম্বরে তিনি দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু এত বছর একটি উন্নত দেশে থাকার পরও তিনি সেদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেননি। দেশে আসার পর থেকেই তিনি আবার রাজনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে নেন। করোনা মহামারীর শুরুতে তিনিই চুনারুঘাটে প্রথম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেন। নিজের পৈতৃক সম্পত্তির বিক্রয়লব্ধ অর্থ দিয়ে তিনি তা পরিচালনা করেন। প্রায় সহস্রাধিক পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন। পাশাপাশি তিনি চুনারুঘাট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ইউকে’র সহযোগিতায় আরও এক হাজার পরিবারকে সহায়তা করেন। যুক্তরাজ্যস্হ বৃন্দাবন কলেজের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সংগঠনের মাধ্যমে তিনি দেড় শতাধিক পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা করেন। চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের সহযোগিতায় তিনি গত রমজানে রোজাদারদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করেন। এছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলেও অর্থ প্রদান করেন। গত ৬/৭ মাসের তার মানবিক কার্যক্রম ও অতীতের রাজনৈতিক সুনামের কারণে তিনি অল্পদিনেই পৌরসভার সাধারণ মানুষের ভালবাসা অর্জন করেন। মানুষের এ ভালবাসা তাকে পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হতে উৎসাহিত করে। প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,”মানুষের সাথে মিশে আমি বুঝতে পেরেছি বর্তমান মেয়র তাদের আকাংখা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। আমাদের পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণির কিন্তু সেবার মান তা বলে না। বিএনপি সমর্থিত মেয়র বলে তিনি সরকারের উপর দোষ চাপিয়ে ভোটারদের বঞ্চিত করছেন। অথচ সরকার দেশের সকল প্রান্তিক অঞ্চলের মান উন্নয়নে আন্তরিক। তাই আমি চুনারুঘাট পৌরসভাকে আধুনিক ও পরিবেশ বান্ধব হিসেবে গড়ে লক্ষ্য নিয়ে আমার দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইছি। এছাড়া এ পৌরসভা সৃষ্টির পর থেকেই মেয়র পদটি বিএনপির দখলে। কিন্তু এমন হওয়ার কথা ছিল না। তাই আমার আশা, আমরা এবার সকলে মিলে আওয়ামী লীগের তথা নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে নতুন দিনের যাত্রা শুরু করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com