শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চুনারুঘাট সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৮ বস্তা গাঁজা উদ্ধার মাধবপুর জায়গা নিয়ে বিরোধ দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ মহান বিজয় দিবস আজ নবীগঞ্জে আমেরিকা প্রবাসীর জায়গার ডোবা থেকে রাতে আঁধারে মাছ চুরি করে নিয়েছে একদল দূর্বৃত্তরা বাহুবলে ৩ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ নবাগত ইউএনওর সাথে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নবীগঞ্জে মালামালসহ পিকআপ ভ্যান ডাকাতি ॥ চালককে অপহরণ ॥ পুলিশের তাৎক্ষনিক অভিযানে গ্রেফতার-১ ॥ মালামাল উদ্ধার হবিগঞ্জে ঠান্ডার কারণে বাড়ছে রোগের প্রকোপ চুনারুঘাটে চাকুরির মেলায় ১০২ জনের কর্মসংস্থান হল বাহুবলে টমটমের ভাড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত

সিলেটের আলোচিত রিপন হত্যার অন্যতম আসামি মুন্না গ্রেফতার

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২ আগস্ট, ২০২০
  • ৫৫৯ বার পঠিত

সিরাজুল ইসলাম হাসান: সিলেটের আলোচিত দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্ট এলাকায় ট্যাংকলরি শ্রমিকনেতা মো. ইকবাল হোসেন রিপন হত্যা মামলায় অন্যতম আসামী মুহিবুর রহমান মুন্না (৩০) নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে।।

ঈদের দিন শনিবার ভোরে মোগলাবাজার থানার সরকারি সিনিয়র পুলিশ কমিশনার পলাশ রঞ্জন দের তথ্যপ্রযুক্তি ও দিকনির্দেশনায়। সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন হাটখোলা ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রাম থেকে দক্ষিণ সুরমা থানার ওয়ারেন্ট অফিসার এএসআই সুবীর চন্দ্র দেব সঙ্গীয় ফোর্সসহ আসামি মুহিবুর রহমান মুন্না (৩০) নামের ওই আসামিকে গ্রেফতার করেন। এ নিয়ে রিপন হত্যা মামলায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

মুহিবুর রহমান মুন্না দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ১নং রোডের গাঙ্গু গ্রামের মৃত আব্দুল করিম মনজ্জিরের ছেলে।

দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি আখতার হোসেন জানান, গ্রেফতার এড়াতে মুহিবুর রহমান মুন্না আত্মগোপন করেছিলেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি, দা, ছুরি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।

সিলেট বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন রিপনকে গত ১০ জুলাই প্রায় মধ্যরাতে নগরীর বাবনা পয়েন্ট এলাকায় কুপিয়ে খুন করা হয়। তাঁর খুনের ঘটনায় ট্যাংকলরি শ্রমিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ডাক দেওয়া হয় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের। পরে পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে ওই অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

রিপনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার তমা বাদী হয়ে ১৩ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৫-৭ জনকে রেখে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৯/১১/০৭/২০। ১৪৩, ৩০২, ৩২৬, ৩০৭ ও ১১৪ পেনাল কোডে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

মামলার পর সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজার নেতৃত্বে অভিযান শুরু করে পুলিশ। ১১ জুলাই রাতে মামলার ১০নং আসামি নোমান আহমদ ও সন্দিগ্ধ আসামি আতাউর রহমান সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়।১৪ জুলাই গ্রেফতার করা হয় হামলাকারীদের বহনকারী অটোরিকশাচালক, সন্দিগ্ধ আসামি তারেক আহমদকে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১৬ জুলাই সন্দিগ্ধ আসামি ওমর খইয়াম সাওগনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরদিন পৃথক অভিযানে এজাহারনামীয় ৫নং আসামি হাবিবুর রহমান মিন্টু ও ৯নং আসামি ইসমাইল আহমদকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

এর মধ্যে ইসমাইল আহমদ মামলার ১নং আসামি মো. ইজাজুল হকের আপন বড় ভাই।

১৯ জুলাই সন্দিগ্ধ হিসেবে মনির আহমদ ওরফে ইমন এবং আয়নুল হককে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে মনির আহমদ ওরফে ইমন মামলার ২নং আসামি রেজোয়ান হোসেন রিমুর আপন বড় ভাই।

২০ জুলাই ৬নং আসামি সেবুল হাসান ঢাকায় পালানোর চেষ্টাকালে গ্রেফতার হন।

মামলার ১নং আসামি মো. ইজাজুল হক (২৫) ও ২নং আসামি রেজোয়ান হোসেন রিমু (৩০) গেল ২০ জুলাই সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২ এ আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ তাদের ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে। আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে এই দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com