বানিয়াচং প্রতিনিধিঃ বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউড়ি ইউনিয়নের ছিলারাই গ্রামে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ গুম করে দেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ডোবা থেকে স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার (১৮ মে) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ধর্ষক ও খুনি রিংকু সরকার (১৯)। রিংকু ছিলারাই গ্রামের হগেন্দ্র সরকারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ছিলারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও ছিলারাই গ্রামের প্রভাত সরকারের মেয়ে ১৫ মে সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় প্রতিবেশী রিংকুর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালামকে জানান ওই ছাত্রীর বাবা প্রভাত সরকার।
সঙ্গে সঙ্গে ইউপি সদস্য আবুল কালাম বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে ছিলারাই গ্রামে গিয়ে কিংকুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখন বিষয়টি স্বীকার করে কিংকু পুলিশকে জানায় অপহরণ করে ধানের খলায় নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ ডোবায় গুম করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডোবা থেকে রোববার রাতে স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বানিয়াচং থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হীরক চক্রবর্তী বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য স্কুলছাত্রীর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোমবার স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। গ্রেফতার রিংকু ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply