নিজস্ব প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বাহুবলের নতুন বাজারে অবস্থিত ওমেরা সিলিন্ডার কোম্পানীতে শ্রমিকরা লাঞ্চের বদলে ইফতার চাওয়ায় শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছে কোম্পানীর ম্যানেজম্যান্টের লোকজন। এ ঘটনায় আহত ২ শ্রমিক ও কোম্পানীর অ্যাডমিন ম্যানেজার নুরুন্নবী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
রোববার (২৬ এপ্রিল) সকালে ৪ শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করায় আন্দোলনে নামে ফ্যাক্টরীর পুরো শ্রমিকরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে তাদের প্রোডাকশনে নিয়ে যায়।
জানা যায়, ওমেরা সিলিন্ডার কোম্পানী শ্রমিকদের দুপুরে লাঞ্চ প্রদান করত। শনিবার রমজান শুরু হওয়ায় তারা লাঞ্চের বদলে কোম্পানীর ম্যানেজম্যান্টের কাছে ইফতার দাবী করে। কিন্তু কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ লাঞ্চ না করলে ইফতার দিবে না বলে শ্রমকিদের জানায়। এসময় শ্রমিককের সাথে কোম্পানীর লোকদের তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে অ্যাডমিন ম্যানাজার নুরুন্নবীর নেতৃত্বে একদল অফিসার গোটা কয়েক শ্রমিকের ওপর হামলা করে। এ হামলায় শ্রমিক তোফাজ্বল, সৈয়দ আলী, ,শ্রাবন, মুবিন আহত হয়। গুরুত্বর আহত তোফাজ্বল ও সৈয়দ আলীকে বাহুবল হাসাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়।
এ দিকে শ্রমিকদের অবস্থা বেগতিক দেখে অ্যাডমিন ম্যানেজার নুরন্নবীও হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
রোববার (২৬ এপ্রিল) সকালে শ্রমিকরা কাজে এসে দেখে আহত শ্রমিক তোফাজ্বল, সৈয়দ আলী, শ্রাবন, মুবিনকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। এ নিয়ে শ্রমিকরা প্রোডাকশন বন্ধ করে আন্দোলনের ডাক দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের চাকুরীতে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিলে তারা প্রোডাকশনে ফিরে।
চাকুরী হারানোর ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক শ্রমিক জানান, আমরা রোজা রাখি লাঞ্চ করব না, ইফতার বাবত ৭০ টাকা দাবি করলে অ্যাডমিন ম্যানেজার তাদের ওপর হামলা করে চাকুরিচ্যুত করে দেন।
তারা আরও জানায়, বর্তমানে করোনা ভাইরাসেও আমাদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। তাদের নেই কোন পিপিই।
কামাইছড়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই সেলিম জানান, এই বিষয়টি নিয়ে বসেছি, পরে জানাতে হবে।
ওমেরা সিলিন্ডার কোম্পানীর অ্যাডমিন ম্যানেজার নুরুন্নবী ফোনে (০১৭০৮ ৮১৪৮৪২) কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply