স্টাফ রিপোর্টারঃ
গোটা বিশ্ব যখন মহামারি নোভেল করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। তখন লকডাউনে পুরো দেশ। আর করোনা মোকাবেলায়(চা বাগান)শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে চা শ্রমিকদের বেতন সহ ছুটির দাবিতে মতামত জানানো হয়েছে।
৩ এপ্রিল শুক্রবার চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের প্রধান সংগঠক সঞ্জয় কান্ত দাস সহ সকল সদস্যের কথোপকথনে এ মতামত জানানো হয়।
সঞ্জয় কান্ত দাস সাংবাদিকদের জানান, চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সংগঠকের অধীর বাউরী,শান্ত বাউরী,লস্করপুর চা বাগানের শ্রী প্রসাদ চৌহান,খান বাগানের রনি ঘোষ,লালচান বাগানের রনি যাদব,লাক্কাতুরা চা বাগানের মনু লোহার,মালনীছড়া বাগানের বাদল বাউরী,প্রদীপ সবর,কৃষ্ণ নায়েক,সাগর নায়েক,সানু দাস,তারাপুর চা বাগানের হৃদয় মুদি, গুলনি চা বাগানের সাজু ওড়াং, যতীন সিং, ছড়াগাঙ্গ চা বাগানের নেপাল ছত্রী,হিলুযাছড়া চা বাগানের সজীব কুর্মী,বড়জান চা বাগানের তাপস নায়েক,দ্বীপ গোয়ালা,হাবিব নগর চা বাগানের প্রসেনজিৎ সিং ছত্রী, কেওয়াছড়া চা বাগানের সঞ্জীত দাস,খাদিম বাগানের আদিত্য বুণার্জী, লালাখান চা বাগানের উজ্জ্বল বুনার্জী,সুমন মৃধা,গঙ্গারজুম চা বাগানের বাজেন গোয়ালা,বাগছড়া চা বাগানের অর্জুন বুনার্জী , বিজয় সিং,করিমপুর চা বাগানের প্রদিপ নাইডু, বরমচাল চা বাগানের রামজিত দাশ, নিতাই, শংখ, বেগমখানের উৎপল বাক্তি, নালুয়া চা বাগানের লিটন মুন্ডা,গিলানী চা বাগানের বাবলু তন্তুবায়,লালচাঁদ চা বাগানের ওম প্রকাশ বাউরী,কাপাই চা বাগানের সঞ্জয় সাঁওতাল, আমু চা বাগানে সরল বুনার্জী সহ এই পরিষদের সকল সদস্যদের সাথে
আলাপনের মাধ্যমে এ মতামত জানানো হয়। তিনি সাংবাদিকদের আরোও জানান, গত ৩১ মার্চ গণভবনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘চা পাতা দূরত্ব বজায় রেখে তোলা হয়। এখানে কোনও অসুবিধা নেই। তারা প্রকৃতির মধ্যেই থাকে, সেখানে সংক্রামিত হওয়ার সুযোগ নেই। সিলেটের চা বাগান চালু রাখা যেতে পারে।’’ বাস্তবে উক্ত বক্তব্য চা শিল্প ও চা শ্রমিকের স্বার্থের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। তাই চা বাগানে করোনা সংক্রমন মোকাবেলায় সবেতন ছুটি দাবি করেন।” গত ৫০ বছরে সরকার চা শ্রমিকদের দিয়েছে ৮/১২ ফিটের একটি ঘর। এর মাঝেই শ্রমিকরা ৬/৮ জনের পরিবার সহ গরু – ছাগল, হাঁস – মুরুগ একত্রে বাস করতে হচ্ছে। এর মাঝে খাবার পানির সংকট। খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয় কূয়া বা নলকূপ থেকে। তাও আবার লাইনে দাড়িয়ে। নেই ভাল চিকিৎসা ব্যবস্থা। খাবারের সংকট। রাত পৌহালেই শ্রমিকরা চলে যান নিজ নিজ কর্মে। শিক্ষার হারও কম,, মহামারি করোনা ভাইরাস কি তারা জানে না। তারা জানে কাজ,, সবাই মিলে একত্রে মিশে থাকা। যদি এখনই বাগান ছুটি না দেওয়া হয়। তাহলে করোনা সংক্রমণে ভয়াবহ হতে পারে। তাই চা শিল্প ও চা শ্রমিকদের জীবন রক্ষার দাবীতে অবিলম্বে চা বাগান বেতন সহ ছুটির ঘোষণা দেওয়া অতি জরুরি।
Leave a Reply