নিজস্ব প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সাথে (ভারপ্রাপ্ত) ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ফাতিমা দুর্ব্যবহার করায় মঙ্গলবার উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভা বয়কট করে এক জরুরী প্রতিবাদ সভা করেন সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। এ নিয়ে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জানা যায়, (২৭অক্টোবর) রবিবার ৫নং শানখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক তরফদার সবুজের বাড়িতে একটি দাওয়াতের আয়োজন ছিল। এতে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও দাওয়াত না পাওয়ার বিষয়টিকে কেদ্র করে চেয়ারম্যানদেরকে কটাক্ষ করে কথা বলায় সকল চেয়ারম্যানরা ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ও চেয়ারম্যানদের মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি হয়। আজ (২৯ অক্টোবর) মঙ্গলবার দুপুর ২টায় উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় চেয়ারম্যানগণ বিষয়টি উত্থাপন করলে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও জরুরী কাজের অযুহাতে সভাস্থল ত্যাগ করেন। এতে সকল চেয়ারম্যানরা আরো ক্ষুব্ধ হয়ে মাসিক সভা বর্জন করে চেয়ারম্যানরা উপস্থিত সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে জানান, ইউএনও উপজেলায় যোগদানের পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে দূর্ব্যবহার, উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাধাগ্রস্থ, এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিসহ সাধারণ জণগণের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অশোভন আচরণ করে আসছেন। বিক্ষোব্ধ চেয়ারম্যানরা জানান, যতদিন পর্যন্ত এ ঘটনার সুরাহা না হবে ততদিন পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের সকল কর্মকান্ড বয়কট করবেন। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ৮নং সাটিয়াজুরী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মাস্টার বলেন, ভারপ্রাপ্ত ইউএনও এভাবে একজন সরকারি কর্মচারি হয়ে জনপ্রতিনিধির সাথে দুর্ব্যহার করতে পারেন না এবং সভা ত্যাগ করে যেতে পারেন না। আমরা উনার সাথে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকব।এনিয়ে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও নুসরাত ফাতিমার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিগণ কি কারণে হঠাৎ করে তারা সভা থেকে বেরিয়ে যান তা আমি অবগত নই, কোন ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে বিরোধ ও দ্বন্ধ নেই। এমনকি কারও সাথে দূর্ব্যবহারও করি নাই, এমনকি চেয়ারম্যানরা মাসিক সভায় আসেন না, আমি তাদেরকে বলেছি যদি কোন কথা থাকে তাহলে পরিষদে এসে কথা বলতে। আহাম্মদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবেদ হাসনাত সনজু চৌধুরী জানান, বিষয়টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব্ আব্দুল কাদির লস্কর ইউ/পি চেয়ারম্যানদের সাথে ইউএনওর ঘটনাটি সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু নুসরাত ফাতিমা বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে রাতে বসার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply