মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
হবিগঞ্জে দিন দিন বেড়েই চলেছে সবজির দাম হবিগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন চা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে এনামুল হক সেলিম ॥ হবিগঞ্জ জেলায় কোন সংখ্যা লঘু বা সংখ্যাগুরু নাই, সকলেই আমরা বাংলাদেশী হবিগঞ্জের ৬৪৩ মণ্ডপে দূর্গোৎসব শুরু মাধবপুরে কাভার্ড ভ্যান থেকে ৩ কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি জব্দ প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে হকৃবি’র বাজেট ঘোষণা ॥ স্বচ্ছতা ও বৈষম্যহীন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সবার সহযোগিতা চাইলেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ চুনারুঘাটে ২৯ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক হবিগঞ্জে আদি গোপাল মিষ্টান্ন ভান্ডারে অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বাল্লা সীমান্তে আটক ৩ হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সভায় জি কে গউছ ॥ পূজায় মন্দির পাহারা দিবে বিএনপি ও অঙ্গন সংগঠনের নেতাকর্মীরা

চুনারুঘাটের মুন্না আবরার ফাহাদ হত্যায় ৫ দিনের রিমান্ডে

নুর উদ্দিন সুমন, বার্তা সম্পাদক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২৮৭ বার পঠিত

আব্দুর রাজ্জাক রাজু : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি মুন্না চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদ মেম্বারের ছেলে। গ্রেপ্তারের একদিন পর বেলা ৩টার দিকে আসামি মুন্নাসহ ১০জনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং চকবাজার থানার (ওসি তদন্ত) কবির হোসেন হাওলাদার। (৮ অক্টোবর) ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী মামলার শুনানি শেষে পাঁচদিনের রিমান্ড দিয়েছেন ঢাকার এক আদালত। বিষয়টি জানার পর জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন আসামি ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ মুন্নার মা।

মুন্নার মা কুলসুমা আক্তার শেলি দাবি করেন, তার ছেলে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি জানান, ঘটনার রাতে মুন্না তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ঘরগাঁও গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাত সাড়ে ১১টায় মুন্না বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেন।

মুন্নার মা বলেন, আমার ছেলেকে পুলিশ আটক করেছে সন্দেহজনকভাবে। আমার ছেলে এমন বর্বর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, আজ আবরারের স্থলে আমার ছেলে মারা গেলেও আমি পুত্রহারা হতাম। আমি এ হত্যাকাণ্ডের দোষীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।

মুন্নার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার পিতা প্রয়াত আহাদ আলী মেম্বার ছিলেন বিএনপির একজন কর্মী। তারা পারিবারিকভাবে বিএনপির সমর্থক। এ পরিবারের সন্তান ইশতিয়াক মুন্না বুয়েটে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা বনে যান।

আবরার হত্যার মুন্না জড়িত থাকার বিষয়টি গ্রামের বাড়ি চুনারুঘাটে জানাজানি হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই তাকে চুনারুঘাটের কলঙ্ক বলে আখ্যায়িত করেছেন।

কুলসুমা আক্তার গত শনিবার বিকালে তার ৩ ছেলেকে নিয়ে চুনারুঘাটের ঘরগাঁও গ্রামে পীর মোর্শেদ কামালের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে বেড়াতে আসেন। রোববার রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাত সাড়ে ১১টায় বুয়েটের ইশতিয়াক মুন্না বাসযোগে ঢাকায় চলে যান।

সোমবার সকালে ছেলের ফোন না পেয়ে মা কুলসুমা ফোন করলে তার ফোনে কল যায় না। এরপরই মুন্নার এক বন্ধু তার মাকে জানায়, মুন্নার হলে (শেরেবাংলা হল) সমস্যা হয়েছে।

মুন্না সমস্যায় আছে, এ কথা বলেই সে ফোন কেটে দেয়। পরে কুলসুমা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার ছেলে প্রথমে চকবাজার পুলিশ ও পরে ডিবি পুলিশের কাছে রয়েছে। তাকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আবরার ফাহাদ

তিনি জানান, নিহত আবরারের বাবা যে মামলা করেছেন তাতে তার ছেলে মুন্নার নাম নেই। এ ছাড়া যে ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে তাতেও মুন্নার ছবি নেই। তিনি জানান, সে ছাত্রলীগ করত আমি জানি।

এ বিষয়ে মুন্নার চাচা ওয়াহেদ আলী জানান, মুন্না রোববার বাড়িতে এসেছিল। রাতে ঢাকা যাওয়ার সময় আমার সঙ্গে বিদায় নিয়ে গেছে।

একই কথা জানান একই গ্রামের ডা. মুসলিম উদ্দিন বলেন, ইশতিয়াক মুন্নারা ৩ ভাই। সবাই মেধাবী। মুন্না গ্রামের ঘরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই ২০০৮ সালে তারা বাবা মারা যান। পরে বিবাড়িয়া জেলায় মায়ের কাছে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক লেখাপড়া করেন। পরে ঢাকায় ক্যাম্ব্রিয়ান কলেজ থেকে পাস করে বুয়েটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পান। বড় ভাই আশরাফ আহমেদ মনির সেনাবাহিনীতে সেকেন্ড লে. হিসেবে যোগদান করে এখন ক্যাপ্টেন হিসেবে কর্মরত আছেন।

ছোট ভাই ইফতেখার আহমেদ রানা শাবিতে পড়ালেখা করছে। তার মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর সেখানে ৫ বছরের একটি সন্তান রয়েছে।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগেরসাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, প্রয়াত আলী বিএনপি করতেন। তার পরিবারও বিএনপি সমর্থক। কিন্তু কিভাবে ছাত্রলীগ হয়ে গেল তা বোধগম্য নয়।

একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। আবরার ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। গতকাল সোমবার ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর লাশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com