ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেটের ১২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৭টি উপজেলায়। জেলার বাকী উপজেলাগুলোতে ‘বিএনপি’ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ের দেখা না পেলেও জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) ৫ প্রার্থী। বেসরকারীভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সিলেট সদর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী আশফাক আহমদ। তার প্রাপ্ত ভোট ৪৫৫৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধ্বি মাজহারুল ইসলাম ডালিম আনারস মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পেয়েছে্ন ২৭১২৪ ভোট। এছাড়া নূরে আলম সিরাজী মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭৩৬ ভোট।
বিশ্বনাথ উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম নুনু মিয়া। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এসএম নুনু মিয়া পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা সুহেল আহমদ চৌধুরী কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছন ১৮ হাজার ২৪৮ ভোট।
বালাগঞ্জ উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান মফুর। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে ৩৪ কেন্দ্রে মোস্তাকুর রহমান মফুর নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৮৮ ভোট। মফুর ১৭ হাজার ২৯৬ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।
জকিগঞ্জ উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী লোকমান উদ্দিন চৌধুরী। তিনি নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪৮ হাজার ২শ ৩৯টি এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মরতুজা আহমদ চৌধুরী দলীয় প্রতীক লাঙ্গল নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৩শ ৫২ টি।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু জাহিদ। বর্তমান চেয়ারম্যান আবু জাহিদ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ময়নুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ১৫ হাজার ৭২৫ ভোট পেয়েছেন।
গোলাপগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ইকবাল আহমদ চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪৯ হাজার ৯১৩টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা রশিদ আহমদ পেয়েছেন ১৫হাজার ১৭১টি ভোট।
বিয়ানীবাজার উপজেলায় হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে ৩২ হাজার ৮৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাশেম পল্লব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান খান পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৫৬ ভোট।
কানাইঘাট উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মোমিন চৌধুরী। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৯ হাজার ৭৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের (বিদ্রোহী) স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মস্তাক আহমদ পলাশ মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ২১ হাজার ২২ ভোট পেয়েছেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে ১২ হাজার ৮৬৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থী ওহিদুজ্জামান ছুফি চৌধুরী পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৮৭ ভোট।
জৈন্তাপুর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কামাল আহমদ। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ১০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিয়াকত আলী পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৯৫ ভোট।
গোয়াইনঘাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বপন পেয়েছেন ২০ হাজর ৫৪২ ভোট।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শামীম আহমদ আনারস প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ৬৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গির আলম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৫৭ ভোট।
Leave a Reply