নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাহুবল উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হাতকড়া পড়ানোর ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এ.এফ.এম নাজমুল হাসান ও কে.এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন। রুলে আগামী ৬ এপ্রিলের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিনকে স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের আইনজীবি কে.এম সাইফুদ্দিন আহমেদ জাতীয় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীর দ্বন্দে দৃশ্যত বিভক্ত হয়ে পড়েছে উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনিক কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিষয়টি এখন জাতীয় ভাবেও আলোচিত। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার সময় দাপ্তরিক বিষয় নিয়ে অফিস সহকারীকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করেন প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এ ঘটনায় অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিক্ষোব্ধ হয়ে উঠলে আমি অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসি’। তিনি বলেন, ‘হাই কোর্টের রুলের বিষয়টি জেনেছি। আমি যথাসময়ে হাজির হয়ে এর ব্যাখ্যা দেব’।
এদিকে, বাহুবলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে আটকের প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন এল.জি.ই.ডি’র কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে হবিগঞ্জ এল.জি.ই.ডি কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এল.জি.ই.ডি’র সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম ও সহকারী প্রকৌশলী মিনারুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা অবিলম্বে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিনের অপসারন ও বিচার দাবী করেন। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষনা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ দুপুরে অফিস সহকারীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগে উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে পুলিশ দিয়ে আটক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন।
Leave a Reply