স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্বিচারে গুলি ও অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক ওসি মাসুক আলীসহ ৫৫ জন পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের মাঝে হবিগঞ্জ সদর থানার সাবেক ওসি (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ, ওসি অপারেশন নাজমুল হাসান, এসআই নাজমুল হাসান, এএসআই আবু জাবেদ, বাপ্পি রুদ্র পাল, আলমগীর হোসেন। অন্য অভিযুক্তরা হচ্ছেন হবিগঞ্জ সদর থানার কনস্টেবল। গতকাল রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ শামসুল ইসলাম বাদী হয়ে হবিগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের আদালতে এ আবেদন করেন। বিচারক মামলাটি আংশিক শুনানী শেষে অধিকতর শুনানীর জন্য আগামী ৫ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির জনসভাকে কেন্দ্র করে শায়েস্তানগরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ তৈরী করা হয়। এতে কেন্দ্রীয় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা জয়নাল আবেদীন ফারুক, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। কিন্তু দুপুর ১২টা থেকেই পুলিশ জনসভার সকল প্রবেশমুখে চেকপোস্ট করে জনসভায় আসা নেতাকর্মীদের হয়রানী করে। পরে মারমুখী হয়ে নেতাকর্মীদের উপর অন্যায়ভাবে গুলি বর্ষণ করে। এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতুসহ ৩ শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
Leave a Reply