বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০১:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চুনারুঘাটে বিষাক্ত শিল্পবর্জ্যের থাবা: দুর্গন্ধে স্থানীয়রা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে চুনারুঘাট পৌর শহরের ডিসিপি হাই স্কুলের পুকুর পাড়ে অর্ধ গলাকাটা শিশু উদ্ধার নানা আয়োজনে চুনারুঘাটে পালিত হয়েছে ২৬ শে মার্চ চুনারুঘাটে লস্করপুর বাগানে নাম সংকীর্তন শুরু চুনারুঘাটে মাদকের বিরুদ্ধে ওসি রাশেদুলের অ্যাকশন শুরু: ৪৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ২ চুনারুঘাটে আর্থপিডিয়া গ্লোবালের আয়োজনে শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে সেমিনার চুনারুঘাটে দৈনিক আমার সংবাদের ১১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন বানিয়াচংয়ে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঢাকায় গ্রেফতার সিলেটের নতুন ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমানের যোগদান যথাযোগ্য মর্যাদায় চুনারুঘাটে মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারি পালন

খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
  • ৩১৪ বার পঠিত

সুস্বাদু আর বেশ পরিচিত একটি ফল খেজুর। যা ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়।

তাই এই ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এছাড়াও খেজুরের রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি। যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয়, চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ দশমিক ৮ গ্রাম ফাইবার। এছাড়াও খেজুরের রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান।

দুর্বল হৃদপিণ্ড: হৃদপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ খেজুর।

মুটিয়ে যাওয়া রোধ: মাত্র কয়েকটি খেজুর ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয় এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। অল্পতেই শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে।

মায়ের বুকের দুধ: খেজুর বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্য সমৃদ্ধ এক খাবার, যা মায়ের দুধের পুষ্টিগুণ আরো বাড়িয়ে দেয় এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

হাড় গঠন: ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে মজবুত করে।

অন্ত্রের গোলযোগ: অন্ত্রের কৃমি ও ক্ষতিকারক পরজীবী প্রতিরোধে খেজুর বেশ সহায়ক। অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে রাতকানা প্রতিরোধেও সহায়ক।

লেস্টেরল এবং ফ্যাট: খেজুরে কোন কলেস্টেরল এবং বাড়তি পরিমাণে চর্বি থাকে না।

কোষ্ঠকাঠিন্য: খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।

সংক্রমণ রোধ: যকৃতের সংক্রমণে খেজুর উপকারী। এ ছাড়া গলাব্যথা এবং বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি ও ঠাণ্ডায় বেশ কাজ দেয়।

শিশুদের রোগবালাই: খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও প্রতিরোধ করে। তাই শুধু রমজান মাসে কেন, বছরজুড়েই খাদ্যতালিকায় থাকুক খেজুর।

ক্যানসার প্রতিরোধ: খেজুর পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ন। এক গবেষনায় দেখা যায় খেজুর পেটের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আর যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যানসারে ঝুকিটাও কম থাকে।

১০০ গ্রাম খেজুরে যা থাকে : এনার্জি ২৭৭ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৯৭ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮১ গ্রাম, ফ্যাট ০.১৫ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার ৬.৭ গ্রাম, ডায়েটরি সুগার ৬৩ গ্রাম।

খেজুর শুধু রমজান মাসেই না, সাড়া বছর জুড়েই কম বেশি খাওয়া উচিত।

সৌজন্যে: বিডি২৪লাইভ

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com