হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : জেলার চুনারুঘাটে বালু সম্রাট চাকুরীচ্যুত পুলিশ সদস্য যুবলীগ নেতা সেলিম আহমেদ অবশেষে ভারতীয় সাইকেল চোরাচালান মামলায় সিলেট কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। সেলিম চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের সুন্দরপুর গ্রামের মৃত আশ্বব আলীর ছেলে। (৭ ফেব্রয়ারী ) রবিবার বিশেষ ক্ষমতা আইনে মোটরসাইকেল চোরাচালানের মামলায় সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্নসমর্পণ করেন সেলিম। আসামি পক্ষের আইনজীবী শাহ মোহাম্মদ মোশাহিদ আলী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৌশেদ আলী চৌধুরী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সেলিমের জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর ভারতীয় চোরাচালানের ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। যার মামালা নং ১০-১৯। এর পর থেকে সেলিম রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন যাবত পলাতক ছিল। এ মামলায় সেলিমের সহযোগী তার অপর ভাই পলাতক রয়েছে। ৮ ফেব্রয়ারী সোমবার এতথ্য নিশ্চত করেন কোর্ট পুলিশের এসআই সুদ্বীত্ত । তিনি জানান, চলতি বছর ২৬ জানুয়ারী মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলী করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সেলিম বরখাস্ত হওয়ার পরও প্রশাসনের চোখ ফাঁকিদিয়ে এলাকায় র্যাব ও পুলিশ পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। সেলিম বরখাস্তর পরও এখনও এলাকায় পুলিশ নামে সে পরিচিত। সেলিম প্রায় ৮ বছর পুর্বে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে যার কনস্টেবল নং ২৯৮। সেলিম পুলিশে গিয়েও চোরাচালানসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। সেলিম ভারতীয় চোরাই মোটরসাইকেলসহ ২০১৯ সালের ১ আগস্ট পুলিশে দায়িত্বে থাকাকালীন সময় ধরা পড়ে । এর পর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয় যার মামলা নং -৩/১৯। এ বিষয়ে সিলেটের আর আর এফ এর সহকারী পুলিশ সুপার নাসির আহমেদ হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সেলিম ভারতীয় চোরাই মোটরসাইকেলসহ হাতেনাতে আটক হওয়ায় পুলিশের চাকুরী থেকে সেলিমকে বরখাস্ত করা হয়। এর পর থেকে সেলিম পুলিশের পদ হারিয়ে এলাকায় যুবলীগের পরিচয় দিয়ে দাপটের সহিত অবৈধ বালু ব্যবসাসহ বিভিন্ন চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ে। এদিকে সেলিমকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে তার সহযোগীরা বিভিন্ন মহলে দৌড় ঝাপ শুরু করছেন। নুর উদ্দিন সুমন
Leave a Reply