ডেস্ক রিপোর্ট: মানুষকে হয়রানি না করে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, সেবাপ্রার্থীরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সেবাপ্রার্থীদের প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা ও পরামর্শ দানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে গতকাল বুধবার বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি পুলিশকে এ নির্দেশ দেন। অনুষ্ঠানে ‘জনগণের আস্থা অর্জন করে পুলিশকে একটি সেবাধর্মী ও জনবান্ধব সার্ভিসে পরিণত করতে পুলিশ সদস্যরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সুশাসনের অন্যতম নিয়ামক হলো আইনের যথাযথ প্রয়োগ। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান ও নিরাপদ সমাজ প্রতিষ্ঠায় আপনাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে। ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ একটি অত্যাবশ্যকীয় পূর্বশর্ত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী মাইলফলক। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এজন্য আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
সন্ত্রাস, জঙ্গি দমন ও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বাহিনীর সব সদস্যকে আরও প্রশিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে অপরাধ ও অপরাধীরা আর নির্দিষ্ট কোনো দেশের ভৌগোলিক সীমানায় সীমাবদ্ধ নেই। প্রযুক্তির বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ অপরাধীরা দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ নেটওয়ার্কের সঙ্গে সহজেই সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবিলা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তা সত্ত্বেও সংঘবদ্ধ অপরাধসহ সন্ত্রাস, জঙ্গি দমন ও মাদকের বিস্তার রোধে পুলিশ সদস্যরা যে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও সাহসিকতা প্রদর্শন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে জনজীবনে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে এসেছে।
অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply