নিজস্ব ঐতিহ্যচর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজের প্রয়োজনে মানুষ পোশাক পরবে এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু নিজের সংস্কৃতি, নিজস্ব স্বকীয়তাটাও মাঝে মাঝে প্রকাশ করা প্রয়োজন। তাতে মানুষ দেখতে পাবে, আমাদেও বৈচিত্র্যটা কত চমৎকার। উপস্থিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যার যার পেশা, সেই পেশাটা ছেড়ে দিলে চলবে না। সেই পেশাটাকেও ধরে রাখতে হবে এবং সেটাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই যেন আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে সেদিকে তোমাদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে- সেটাই আমি চাই। শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশ গড়ায় অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা-দীক্ষা নিয়ে সবাই রাষ্ট্র পরিচালনায় আসবে। দেশটা আমাদের, এ কথাটা সবাইকে মনে রেখে যার যার ক্ষেত্রে সবাই কাজ করে যাবে। এখন যারা উপস্থিত, তাদের কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, মেডিকেলে পড়ছে বিভিন্ন সাবজেক্টের ওপরে উচ্চতর পড়াশোনা করছে, তারাই একদিন দেশ গড়ার কাজে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী এ্যা ম্যাট। তিনি শিক্ষাবৃত্তিসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উন্নয়নে আন্তরিকতা ও বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে ৫০০ শিক্ষার্থীকে ২৫ হাজার করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার বৃত্তির চেক দেওয়া হয়। চলতি অর্থবছরে ২ হাজার শিক্ষার্থীকে আরও ৫ কোটি টাকা বৃত্তি দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply