আজিজুল হক নাসির ॥আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো আমুরোড হাই স্কুল এন্ড কলেজে পিঠা উৎসব। শিক্ষার্থীদের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানটি জমজমাট হয়ে উঠে। ক্ষণিকের জন্য উৎসবটি পরিণত হয় শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায়। প্রতিবছরের মত এবারো নানা রংয়ের পিঠা তৈরী করে নিয়ে আসে ছাত্র /ছাত্রীরা। সকাল থেকেই শুরু হয় পিঠা মেলার উৎসবের প্রস্তুতি। শতশত শিক্ষার্থী পরিবারের অংশগ্রহণে জমজমাট রূপ ধারণ করে পিঠা মেলা। ৩১জানুয়ারি বৃহস্পতিবার স্কুল মাঠে পিঠা মেলার উৎসবটি আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ পিঠা মেলার আয়োজনের শেষ মুহূর্তে এক আলোচনা সভা ও বাছাই করে তিনটি স্টলকে সেরা স্টলের পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়।প্রষ্ঠিানের গভর্নিংবডির সভাপতি ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজুর সভাপতিত্বে অধ্যক্ষ মোঃ আলাউদ্দিন এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈন উদ্দিন ইকবাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ রানা, ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ, আওয়ামীলীগের তথ্যও গবেষনা সম্পাদক হাসান মেম্বার, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, দুলাল মেম্বার ,হবিগঞ্জ রিপোর্টাস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নুর উদ্দিন সুমন,উপজেলা, সার্ভেয়ার মনির হেসেন,সহ শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ।মেলার সেরা বাছাইয়ে ১ম স্থান হয়, বঙ্গবন্ধু পিঠা ঘর,২য় জাতির পিতা স্টল ,এবং ৩য় হয় শেখ হাসিনা স্টল। প্রত্যকটি স্টলের দলনেতা অতিথিদের কাছ থেকে পরুস্কার গ্রহণ করেন। এদিকে পিঠা উৎসবে নানা পিঠার সমাহার নিয়ে হাজির ছিল শিক্ষার্থীরা। পিঠা উৎসবের মূল আয়োজক ছিল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন বলেন ‘প্রতি বছরই আমরা পিঠা উৎসব করে থাকি। ঋতুবৈচিত্র্যের এ দেশে শীত আমাদের অনেকের কাছেই প্রিয়। বাঙালি ঐতিহ্যগত কারণে এ ঋতুর সঙ্গে পিঠার অন্যরকম যোগসূত্র আছে। তাই শীতকে আমরা বরণ করে নিই এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে। উৎসবে প্রবেশ মুখেই নানা পিঠার স্টলগুলো ঘুরে দেখা গেল দেশের ঐতিহ্যের নানা রকম পিঠা। পুলি, ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, মাংস পিঠা, নকশা, পাকন, ফুলের পিঠা,ফুল পাপড়া, ডাইলের পিঠা, নারিকেল পিঠা, সন্দেশ পিঠা,ডিম প্রভৃতি পিঠার সমাহার। উৎসবে শিক্ষার্থীদের ১৬টি স্টলের পিঠার সমাহার যেমন ঠিক তেমনি স্টলের নামেও দেখা গেল বৈচিত্র্যময়। যেমন জাতির পিতা স্পেশাল পিঠা ঘর, বঙ্গ বন্ধু পিঠা ঘর, শেখ হাসিনা পিঠা ঘর, প্রজাপতি স্টল, কুটুম বাড়ী পিঠা ঘর, শীতেরদিনে মিষ্টি পিঠা, স্পেশাল অপরূপ স্বাদের পিঠা, রকমারি পিঠা ঘর, নীল কন্ঠ পিঠা ঘর, আনন্দ বিপনী, ক্লাসিকাল পিঠা ঘর, বাঙ্গালি পিঠা বিপনি, স্পেশাল প্রাইম ফুড, পিঠা মেলা, গভর্নিং কমিটির সভাপতি ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের সভাপতি আলহাজ্ব আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু বলেন, আমাদের মেলার মোট ১৬টি স্টল ছিল এতে নানা রকম পিঠা বিক্রি হয়েছে ‘পিঠা উৎসবে প্রচুর শিক্ষার্থীর সমাগম ঘটে। এর আয়োজক শুধু শিক্ষার্থীরা হলেও সব শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের সমাগমে উৎসব প্রাণচাঞ্চল্য পায় আমাদের এ মেলা প্রতিবছর অব্যাহত থাকবে। কথা হলো মেলায় অংশগ্রহণ করা পিঠাঘরের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। জাতির পিতা স্পেশাল পিঠাঘরের খাদিজা আর সোহান বলেন, আমরা এবার বিভিন্ন পিঠা নিয়ে আমাদের স্টল সাজিয়েছি। এর মধ্যে ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, ডিম পিঠা অন্যতম। এর সঙ্গে যোগ করে হাফিজা ফয়সল বলেন, ‘এ ছাড়াও ছিল ঝুলি, মাংস পিঠা, শামুক পিঠা, সূর্যমুখী, নকশা, পাকন পিঠা। ইতিমধ্যে আমাদের সব পিঠা বিক্রি হয়ে গেছে। আমাদের পিঠাগুলোর দাম ছিল শিক্ষার্থীদের সাধ্যের মধ্যেই।’ উৎসবে অংশগ্রহণ করা অন্য পিঠা স্টলগুলোতেও ছিল পিঠার বৈচিত্র্য। উৎসবে আসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈন উদ্দিন ইকবাল বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন পিঠা খেয়ে দেখেছেন, এবং সকল স্টল গুলোতে প্রাইজমানি বিতরণ করেন। তিনি বলেন পিঠা উৎসব আমাদের দেশের ঐতিহ্য । আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে এ উৎসবে অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থী মোহনা বলে এ রকম উৎসবে সবার সঙ্গে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। ষড়ঋতুর এ দেশে শীত অন্যরকম এক ঋতু। তবে এ পিঠা উৎসব সেই কষ্টের কিছুটা হলেও লাঘব করেছে। সব সহপাঠীর সাথে শীতের পিঠা খাচ্ছি, এর মজাই আলাদা।
উক্ত মেলায়১৬ টি স্টলকে প্রাইজমানি ও পিঠা উৎসবের যাবতীয় খরচ বহন করেন গভর্নিংবডির সভাপতি ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু
Leave a Reply