বিশেষ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। টানা ভারিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে অনেকের বাসা বাড়ি প্লাবিত হওয়ায় জনজিবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গোলার ধান ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেছে শতাধিক মৎস্য খামারের মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শাকসবজির বাগান ও ক্ষেতের ফসল। নিরাপদ পানি ও খাদ্য সংকটে রয়েছেন পানিবন্দী নিম্নআয়ের হাজার হাজার মানুষ।
করোনার মহামারির মধ্যে বন্যায় এখন সাধারণ রোগের চিকিৎসা সেবা নিয়েও শংকায় রয়েছেন এ উপজেলার মানুষ। সিলেট-ছাতক আঞ্চলিক মহাসড়কের কিছু অংশ তলিয়ে যাওয়ায় ছাতক শহরের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে এ উপজেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি করছেন অনেকেই।
এদিকে উপজেলার যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো প্লাবিত হয়নি সেগুলো খুলে দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম। রোস্টার অনুযায়ী আলাদা আলাদাভাবে প্রশাসনের কর্মচারীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানায়, রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছাতকের সুরমা নদীর বিপদসীমার ১৮০ সেঃমিঃ ও চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি ২০০ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া গতকাল শনিবার আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে কবলে পড়ে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাওঁ ইউনিয়নের ধারন এলাকার প্রায় ৪০ পরিবার ও সিংচাপইড় ইউনিয়নের আরও অন্তত ২০ পরিবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গোলাম কবির জানান, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক খবরাখবর নেওয়া হচ্ছে। তিনি সবাইকে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
Leave a Reply