নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ জেলার  চুনারুঘাটে  বনগাঁও গ্রামে সম্পদ নিয়ে পুর্ব বিরোধের জের ধরে আব্দুল হক (৪৭)নামের এক নিরীহ ছোট ভাইকে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে  পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বড় ভাই ও তার লোকজন। এতে গুরুতর আহত হয়েছে আব্দুল হক। আহত অবস্থায় ছেট ভাই আব্দুল হককে উদ্ধার করে চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার আব্দুল হকের শারীরিক  অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল হককে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।  আব্দুল হকের পরিবারের  অভিযোগ –  প্রতিপক্ষের লোকজন অপহরণ করে হত্যা করতে চেয়েছিল আব্দুল হককে। তার শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে কালামসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন আব্দুল হককে  রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায়  উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, আহত আব্দুল হকের ৬জন মেয়ে তার কোন ছেলে সন্তান নেই, ছয় কন্যা সন্তান নিয়ে অসহায় আব্দুল হক।এদিকে আব্দুল হকের বড় ভাই  ভাতিজারা  আব্দুল হককের সম্পদের দিকে কুনজর  পড়ে। তাই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে জুলুম অত্যাচার করে আসছে নিরীহ আব্দুল হককের উপর। ছোট ভাইর  জায়গা জোর করে দখল করার প্রতিযোগিতায় নামে আব্দুল হাই। এমনকি আব্দুল হকের ছেলে সন্তান না থাকায়   মেয়েদেরকে  সম্পদ কম দেওয়ার জন্য কলা-কৌশলের আশ্রয় নেন আব্দুল হাই। যেন পরবর্তীতে জমি ভাগ হলেও মেয়ে কম পায় এবং আব্দুল হাই বেশি পায়। তাদের উদ্দেশ্য একটাই আব্দুল হকের সম্পদ দখল করা ।  এর আগেও  আব্দুল হাইর  সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে   বিরোধ চলছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি গত বৃহস্পতিবার গুচ্ছ গ্রামে সন্ধারপর আব্দুল হাইর মেয়ের জামাই  আবুল কালাম আব্দুল  হককে ডেকে নিয়ে কলাবাগানে মারধোর করে অজ্ঞান করে ফেলে রাখে । আশপাশের লোকজন আব্দুল হককে  রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় দেখে তার পরিবারকে  খবর দিলে পরবর্তীতে তার আত্নীয় স্বজন ও পরিবারের লোকজন উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে আব্দুল হকের মেয়ে হালিমা খাতুন জানায়, এর আগেও কয়েকবার  তার পিতাকে হত্যার ষরযন্ত্র করে তার চাচা আব্দুল হাইসহ তার লোকজন, এমন ঘটনায় বিগত ৬মাস পুর্বে  হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবরে আব্দুল হকের পরিবার আব্দুল হাইর ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে অভিযোগ করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপার  ব্যবস্থা নিতে চুনারুঘাট থানাকে নির্দেশ দেন। চুবারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ তাদের সৃষ্ট বিরোধ মিমাংসা করেদেন। এরপরও থেমে নেই তাদের ষড়যন্ত্র। নানা কৌশল করছে চাচা- আব্দুল হাই তাদের সম্পদ দখল করতে। হালিমা আরও জানায়, আবুল কালাম, সাদ্দাম, মুমিন ও সাগর, মিলে অপহরণ করে হত্যা করতে চেয়েছিল তার পিতাকে। কিন্তু লোকজনের জন্য তাকে হত্যা করতে পারেনি, তারা যেকোন সময় তার পিতাকে হত্যা করতে পারে। হালিমা প্রশাসনের কাছে তার পিতার হামলাকারীদের বিচার ও  পরিবারের নিরাপত্তা চান। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে