নিজস্ব প্রতিনিধ : সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) আহবানে সাড়া দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ১৫ শতাধিক লোক ধান কাটতে হাওরে নেমেছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ইউএনও প্রিয়াংকা পালের আহবানে উপজেলার দশ পয়েন্টে ৮দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন হাওরে কাস্তে হাতে বোরো ধান কাটায় নামেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার এসব লোকজন।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে চলতি বোরো মৌসুমে জেলার অন্যান্য উপজেলার ন্যায় হাওরের ধান কাটার শ্রমিক (ধাওয়ালী) সংকট দেখা দিলে জামালগঞ্জের কৃষকদের মধ্যে আগাম বন্যা ও অকাল বৃষ্টির আগেই বোরো ধান কেটে ঘরে গোলায় তোলা নিয়ে নানামুখী শংকা তৈরী হয়।
এ নিয়ে ইউএনও তার অফিসিয়াল ও ব্যাক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজনকে কৃষকদের ধান কেটে দেয়ার আহবান জানান।
ইউএনও’র আহবানে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার সকালেই উপজেলার দশ পয়েন্টে বিভক্ত হয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ১৫ শতাধিক লোক কাস্তে হাতে ধান কাটতে হাওরে নামেন।
দিনব্যাপী উপজেলার বৃহৎ পাগনার,হালি ও মহালিয়া হাওরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী,আনাসার সদস্য, নৌ পরিবহন শ্রমিক, বালু পাথর শ্রমিকগণ ধান কাটায় অংশ নেন।
বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রিয়াংকা পাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশানার আলোকে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন ধান কাটায় অংশ নেয়ায় আশা করি আগামবন্যা আসার আগেই ধান কেটে কৃষকের ঘরে গোলায় তোলে দেয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন,মঙ্গলবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ সরজমিনে জামালগঞ্জ এসে উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ধান কাটা কার্যক্রম তদারকি করে গেছেন। এতে করে ধান কাটায় অংশ নেয়া বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন ও ধান কাটা শ্রমিকরা অনেক উৎসাহিত হয়েছেন ।
দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন
Leave a Reply