অনলাইন ডেস্কঃ একজন নারীর সিজারিয়ান সেকশন একটি বড় অপারেশন। তাই এ থেকে সেরে উঠতে কিছু সময় প্রয়োজন হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে বিশ্রাম এবং সঠিক যত্ন নেওয়াটা জরুরি, অন্তত ছয় সপ্তাহ।
হাঁটাচলা
সিজারিয়ান সেকশনের ২৪ ঘণ্টা পরই রোগীকে নিজে নিজে হাঁটাচলা করতে হবে। এতে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখবে এবং ব্যথাও কমবে।
খাদ্য
মায়ের নিজের এবং শিশুর বুকের দুধের জন্য অবশ্যই স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে।
বেশি সুষম খাবার এবং সেই সঙ্গে শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। ভিটামিন-সি-যুক্ত খাবার যেমন লেবু, কমলা, মালটা ও আমলকী বেশি করে খেতে হবে, যা দ্রুত সেলাই শুকাতে সহায়তা করবে।
প্রচুর পানি পান করতে হবে, যা প্রস্রাবের পরিমাণ ঠিক রাখবে এবং শাকসবজি বিশেষ আঁশযুক্ত ফল, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে। এতে সেলাইয়ের ওপর কোনো ধরনের চাপ পড়বে না। অস্ত্রোপচারের কারণে বেশ রক্তক্ষরণ হয়, তাই আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে, যা রক্তশূন্যতা দূর করবে।
* হাঁটা-চলার সময় কোমরে বেল্ট ব্যবহার করতে হবে।
প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে, তবে পরিমাণ বেশি হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
যেসব কাজ বর্জনীয়
সেলাইয়ের জায়গায় বারবার হাত দেওয়া যাবে না। এতে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ভারী কাজ/ভারী জিনিস তোলা থেকে কমপক্ষে ছয় থেকে আট সপ্তাহ বিরত থাকতে হবে।
সিঁড়ি ওঠানামা যতটা কম করা সম্ভব কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ।
কাশি হতে পারে, তা থেকে বিরত থাকার জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
ছয় সপ্তাহ কমপক্ষে স্বামী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
মানসিক যত্ন
সিজারিয়ান সেকশনের পরই রোগীর মাথা ব্যথা, বমি হয়। একে ঝঢ়রহধষ ঐবধফধপযব বলে।
বমি হলে সেই চাপ সেলাইয়ের ওপর পড়তে পারে। তাই বমি হলে তলপেটে চাপ দিয়ে ধরা এবং পরে ওষুধ সেবন করতে হবে।
এ সময় রোগীর ঘুম হয় না। অনেক সময় ইনসমনিয়া হয়, যাতে রোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং বিষণ্ণতায় পড়ে যায়। একে প্রেগনেনসি ব্লু বলে।
তাই রোগীকে ঘুমানোর সুযোগ করে দিতে হবে এবং বাচ্চা দেখাশোনায় পরিবারের অন্যদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন
হঠাৎ জ্বর (তাপমাত্রা ১০২ থেকে ১০৩-এর অধিক) হলে।
তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হলে।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে।
কাটা/সেলাইয়ের জায়গা ফুলি উঠলে বা পুঁজ বা পানি বের হলে।
স্তন ফুলে গেলে বা দুধ জমে গেলে।
শাসকষ্ট বা বুক ব্যথা হলে।
পা ফুলে গেলে।
Leave a Reply