স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সদরের তানযীলুল কুরআন ওয়াস-সুন্নাহ মডেল মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ইসরাত জাহান জুমি (১০) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে চলছে গুঞ্জন। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। নিহত ছাত্রী উপজেলার অলিপুর এলাকার শাহ আলম এর কন্যা। গত বুধবার দুপুরে ২নং ওয়ার্ডে মহলুল সুনাম এলাকায় চতুর্থ তলা ভাড়াটিয়া আবাসিক প্রাইভেট মহিলা মাদরাসার ছাদ থেকে পড়ে সে গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, জুমির দুই হাত-পা হাড় ভেঙ্গে গেছে এবং বুকে, মাথায় ও নাকে শক্ত চাপ পড়েছে। কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া পরে ডাক্তার জুমিকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং সেখানে তিনদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শনিবার সকালে হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করে। মাদ্রাসা সুপার হাফেজ মাওলানা মোশাহিদ বলেন, কি কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে কিছু বুঝতে পারছি না। কিন্তু এখন আমার উপর চাপ আসবে। এ মাদরাসা ভেতরে লেখাপড়া ও খেলাধুলা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। কোনো শিক্ষার্থীকে বাহিরে যেতে দেওয়া হয় না। সকল দিকে তালা মারা থাকে। যে সময় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তখন আমি নামাজে ছিলাম। কেন এই দুর্ঘটনা ঘটেছে কিছুই বুঝতে পারছি না। জুমিকে ভালো চিকিৎসা জন্য মাদ্রাসা পক্ষ থেকে অর্থ দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোবারক হোসেন ভূইয়া জানান, শাহবাগ থানায় লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply