শুক্রবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বন্যায় হবিগঞ্জে ১৬৯ কিলোমিটার রাস্তা ও ৬টি ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্থ ॥ মেরামত করতে খরচ হবে ১৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ॥ কার্যালয়ে তালা বানিয়াচঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ॥ ভাইয়ের হাতে ভাই খুন জেলা বিএনপির দোয়া মাহফিলে জিকে গউছ ॥ শেখ হাসিনার কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারেনি হবিগঞ্জে নবাগত পুলিশ সুপার রেজাউল হক খানের যোগদান চুনারুঘাটে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৩ দাঙ্গাবাজ কারাগারে নুরপুরে ত্রাণ বিতরণকালে জিকে গউছ ॥ যারা অন্যের সম্পদ লুন্ঠন করে তারা দুস্কৃতিকারী, তারা সন্ত্রাসী নবীগঞ্জে যুবক খুন মিরপুর বাজার রণক্ষেত্র ॥ দুুই দিনে ১০ ঘন্টা সংঘর্ষ ॥ আহত ৪ শতাধিক হবিগঞ্জে কমছে পানি ভাসছে ক্ষত চিহ্ন

মাধবপুরে মুর্তিমান আতংকের নাম উজ্জ্বল বাহিনী

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৮৬ বার পঠিত

মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুরে মুর্তিমান আতংকের নাম উজ্জ্বল বাহিনী। চুরি, ছিনতাই, মাদক, দাদন ব্যবসা, নারী নির্য়াতন ও দখলবাজীসহ এহেন কাজ নেই যা এ বাহিনী করে না। তাদের ভয়ে কয়েক গ্রামের সাধারন তটস্ত। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদের উপর নেমে আসে অত্যাচার ও নির্যাতন। মিথ্যা মামলা দিয়ে করা হয় হয়রানী। অনৈতিক কাজ করে শূন্য থেকে অল্প দিনেই কোটিপতি বনে গেছে উজ্জ্বল বাহিনীর প্রধান উজ্জ্বল। চুরি, ডাকাতি, মাদক, নারী নির্যাতন ও খুনসহ ডজনখানে মামলা ও সাধারন ডায়েরী মাথা থাকলের এসবের তোয়াক্কা না করে বীরদরপে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় শর্তাধিক মানুষ দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে এখন পথে বসেছে। মাধবপুর পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের গুনি মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল। কয়েক বছর আগের তাদের সামান্য ভিটে বাড়ী ছাড়া তেমন কিছুই ছিল না। এখন তার হাতে কোটি কোটি টাকা, অগাধ সম্পদের মালিক। সিসকে চুরি-ছিনতাইয়ের মাধ্যমে তাদের অপরাধ জগতে পা রাখা। তাদের বাড়ীর পাশ্ব দিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়াত করার সুবাদে প্রায়ই পথচারীদের টাকা-পয়সা ছিনতাই করে রেখে দেয়। তাদের অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে ২০১৩ সালে মাধবপুর পৌরসভার মেয়রসহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক শতাধিক মানুষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ফেলায় এর তেমন কোন প্রতিকার না হওয়ায় পরবর্তীতে উজ্জ্বল তার ৭ সহোদরসহ কয়েক অপরাধী নিয়ে একটি বাহিনী গঠন করে। শুরু করে মাদক ব্যবসা ও চুরি ছিনতাই । এক পর্যায়ে গড়ে তোলে দাদন ব্যবসার একটি সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অসহায় লোকদেরকে ফাঁদে ফেলে সাদা স্টামে স্বাক্ষর রেখে অনেকের ভিটে মাটি জায়গা-জমি নিজের নামে লিখে নেয়। অনেককে ভয়ভীতি ও মারধোর করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। তাদের এহেন আচরনে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করে। ১৪ অক্টোম্বও সন্ধ্যা রাতে উজ্জ্বল বাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে কয়েকটি গ্রামের হাজারো জনতা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ সভা করে। সভা শেষে বাড়ী ফেরার পথে প্রতিবাদী লোকজনের উপর উজ্জ্বল বাহিনী হামলা করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এরই মধ্যে উজ্জ্বলের প্রতিবন্দি ভাই রাষ্টু মিয়া নিজবাড়ীতে রহস্যজনক খুন হয়। প্রতিবাদকারীদের ফাঁসাতে রাষ্টু খুনের দায় চাপিয়ে এলাকার শান্তিপ্রিয় জনসাধারনের উপর। তাদের নামে দায়ের করা হয় হত্যা মামলা। মামলা দায়েরের ফলে কয়েক গ্রামের সাধারন মানুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের অত্যাচার ও মিথ্যা মামলার ফাঁদ থেকে বাচঁতে আন্দিউড়া ও বহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ কয়েকশত মানুষ স্বাক্ষরিত একটি আবেদন দিয়েছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে। আবেদনে স্বাক্ষরকারীরা রাষ্টু হত্যার সুষ্টু ও নিরেপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন। ঘটনার পর পরই উজ্জ্বল বাহিনী মোটরসাইকেল নিয়ে স্বশস্ত্র মহরা দেয়া শুরু করে। এতে এলাকার নারী ও শিশুরা ভয়ে আতংকে আছে। উজ্জ্বল বাহিনীর হাতে অনেক যুবতী ও গৃহবধূ সম্ভমহানীর আশংকায় এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com