নুর উদ্দিন সুমন ;ঃ- হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রী ও সন্তানের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। অভাবের কারণে থাকতে হচ্ছে অনাহারে। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে স্ত্রী ও চার কন্যা সন্তানকে বসবাস করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালদাড়িয়া গ্রামের মৃত আকুল মিয়া মেয়ে শরীফা বেগম জানান, ২০০০ সালে ৮-অক্টোবর বাহুবল উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামের মৃত আব্দুল শহীদের ছেলে মামুনুর রশিদ ওরফে জালাল মিয়ার সাথে তার বিবাহ হয়। তাদের ৪ কন্যা (নুরুন্নাহার, ফারজানা আাক্তার,শামসুন্নাহার,তানিয়া আক্তার) সন্তান রয়েছে। স্বামী জালাল মিয়া যৌতুকের জন্য প্রায়ই তাকে চাপ দিতেন। বাধ্য হয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দেন। তারপরও জালালের মন তিনি জয় করতে পারেননি।
২০১৬ সালে বাহুবল উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের সুর্বণা নামের এক নারীকে মৌলভীবাজার নিয়ে গোপনে বিয়ে করেন জালাল। অবশেষে মামলার ভয়ে ২০১৮ সালে সুর্বণাকে তালাক দেন। তিনি তাদের সাথে না থেকে অন্যত্র বসবাস করছেন। বর্তমানে তিনি পরকীয়ার মাধ্যমে আরেকটি বিয়ে করার চেষ্টা করছেন। আমি ও আমার চার কন্যা সন্তান মিলে এর প্রতিবাদ করছি। এ কারণে আমাদের ভরণপোষণ করছেন না তিনি। সন্তানদের করছেন না দেখভাল। তাই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোতে হচ্ছে। এর পর থেকে মধ্যে আবার ১৫ এপ্রিল বুধবার দুপুরে স্বামী জালাল মিয়ার নেতৃত্বে দুলাল মিয়া নামে এক লোককে নিয়ে আমাদের ঘরে বন্দীকরে রাখে এবং ঘরের কারেন্টের সংযোগ বন্ধকরে দিয়ে নির্যাতনের চেষ্টাকরে। বিষয়টি বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠান। এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার খবর পেয়ে তাদেরকে খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছেন । এ দিকে বিষয়টি ওয়ার্ড মেম্বার শামীম আহমেদ ও স্থানীয় মুরুব্বীয়ানরা বিষয়টি সুবিচার করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। নুরুন্নাহার, ফারজানা আক্তার, শামসুন্নাহার বলেন, তারা আজ অসহায়। এ পরিস্থিতিতে তারা কোন উপায় খোঁজে পাচ্ছেন না। প্রশাসনের কাছে পিতা ও চাচার অন্যায়ের বিচার দাবী করে আর্থিক সহযোগীতা ও খাদ্যসামগ্রী কামনা করেন। মেম্বার শামীম আহমেদ বলেন তাদের উপর অন্যায়ের বিষয়টি তিনি দ্রুত দেখছেন। কিন্তু এনিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিচার বসলেও সমাধান করতে পারেননি স্থানীয়রা পরবর্তীতে পুনরায় বিচারের তারিখ করা হয়েছে।
এদিকে তার বোন ফারজানা মানুষিক চাপে অতিষ্ঠ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে গত রাত ৯টায় বাহুবল হাসপাতালে ফারজানাকে ভর্তি করা হয়েছে। এরিপোর্ট লেখা কালে তার জ্ঞান ফিরেনি বলে জানা গেছে। এবিষয়টি মামুনুর রশিদ ওরফে জালাল ২য় বিয়ের কথা স্বীকার করলেও স্ত্রী ও কন্যার আনীত অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেন।
Leave a Reply