নুর উদ্দিন সুমন : হবিগঞ্জে গতবছরের মত এবছরও বাণিজ্য মেলায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে নকল-ভেজাল ও নিম্নমানের কসমেটিকস। পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গনে স্থাপিত ফুসকা-চটপটির দোকানে পাওয়া যাচ্ছে মেয়াদউত্তীর্ণ কোমল পানীয়। সোমবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালিত এক অভিযানে ফুটে ওঠে এ চিত্র। এসময় মেলার পাঁচটি প্রসাধনী বিক্রয়কারী স্টল এবং একটি ফুসকা-চটপটির স্টলকে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে অধিদপ্তর। অভিযান চলাকালে নকল ও ভেজাল প্রসাধনী বিক্রির অপরাধে
গাজী গ্যালারীকে ৪ হাজার টাকা, মেয়াদহীন প্রসাধনী বিক্রির অপরাধে মিজান কসমেটিকসকে ১ হাজার টাকা, নাদিম কসমেটিকসকে ২ হাজার টাকা এবং নকল লেকমি প্রোডাক্ট বিক্রির অপরাধে লেকমি কসমেটিকস এর দুইটি স্টলকে ২ হাজার ও ৩
হাজার টাকা করে মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একি সময়ে মেলা প্রাঙ্গনে স্থাপিত খাবারের দোকানগুলোতেও অভিযান চালায় অধিদপ্তর। অভিযানে ঢাকা চটপটি স্টলে বেশ কিছু মেয়াদউত্তীর্ণ কোমল পানীয় পাওয়া যায়। এসময় প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে অভিযানের খবর পেয়ে বেশিরভাগ স্টলই তাদের নকল ভেজাল ও
মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য সরিয়ে ফেলে। তবে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মেলায় নিয়মিত তদারকি অভিযান পরিচালিত হবে বলেও জানানো হয়। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে সার্বিক সহয়তায়
ছিলেন এসআই খোরশেদের নেতৃত্বে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ও হবিগঞ্জ চেম্বারের প্রতিনিধি দেওয়ান মিয়া। এসময় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সচেতনতামূলক লিফলেট ও পাম্পলেট বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply