রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বাহুবলে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবক গুরুতর আহত ॥ সিলেট প্রেরণ চাকুরীতে কোটা বাতিলের দাবিতে শায়েস্তাগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাড়াশি অভিযান ॥ বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই টমটমসহ গ্রেফতার ৫ বাহুবলে রাস্তার পাশ থেকে এক নবজাতক উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের আয়া মায়া রাণীর অপচিকিৎসায় প্রসূতি মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ লাখাই-হবিগঞ্জ সড়কের ব্রিজের নীচ থেকে বৃদ্ধের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার নবীগঞ্জে ৩টি ওয়ারেন্টে মামলার ৬ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী এস এম আলী গ্রেফতার চুনারুঘাটে ডিবি’র পৃথক অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ॥ ৪৫ কেজি গাঁজাসহ প্রাইভেটকার ও সিএনজি গাড়ী আটক হবিগঞ্জের আলোচিত সানজানা শিরিনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান। সুতাং ব্রীজে পিকআপ ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ ॥ মহিলা নিহত

পুলিশ কন্যা রুম্পা প্রেম বিচ্ছেদ দ্বন্দ্ব নিয়েই খুন ॥ প্রেমিক সৈকত ৪ দিনের রিমান্ডে

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ২৬০ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ শহরের চৌধুরী বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রুকন উদ্দিনের কন্যা ও রাজধানীর স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আবদুর রহমান সৈকতের। এই সম্পর্কের ইতি টানতে চেয়েছিলেন সৈকত। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হলে সৈকত তার সহযোগীদের নিয়ে রুম্পাকে সিদ্ধেশ্বরীর সেই বাসার ছাদে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে তাকে ওই ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। রুম্পার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সৈকতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এমন সন্দেহ হচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)। এ কারণে সৈকতকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল ডিবি। তবে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রুম্পার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির রমনার জোনাল টিমের পরিদর্শক শাহ মোঃ আকতারুজ্জামান ইলিয়াস। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের বিষয়ে তিনি আদালতকে জানান, রুম্পা ও সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দিন দিন তাদের সম্পর্কে অবনতি ঘটে। ৪ ডিসেম্বর বিকেলে তারা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বাইরে দেখা করেন। তখন কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেন সৈকত। রুম্পা বারবার অনুরোধ করলেও সৈকত সম্পর্ক রাখতে রাজি হচ্ছিলেন না। এ নিয়ে দু’জনের মনোমালিন্য ও বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এর জের ধরে ওই দিন রাত পৌনে ১১টায় সৈকত তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে রুম্পাকে ৬৪/৪ সিদ্ধেশ্বরীর বাড়িটির ছাদে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে রুম্পাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন। এটাই প্রাথমিকভাবে জোর সন্দেহ করা হচ্ছে। এ কারণে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে অজ্ঞাত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনার পরপরই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেন। সুরতহালে পুলিশ গুরুতর কিছু ইনজুরি পায়। সংগৃহীত আলামত ফরেনসিকে পাঠানো হয়। ওই ঘটনার পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে। মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর রুম্পার পরিচয় জানা গেলে তার সতীর্থ স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, রুম্পা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনও করছেন শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে সৈকতকে আটক করে ডিবিতে নেয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার তাকে রমনা থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com