বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নবীগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ ॥ বখাটেদের গ্রেফতারের দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ হবিগঞ্জে বিপন্ন প্রজাতির ৩টি তক্ষক অবমুক্ত করল বনবিভাগ হবিগঞ্জ শহরের শংকরের মুখে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত চুনারুঘাটে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল আটক চুনারুঘাটে গাঁজা পাচারকালে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক ব্যারিস্টার সুমন মিরপুর থেকে গ্রেফতার ॥ ৫ দিনের রিমান্ডে চুনারুঘাটে খুন করে টমটম ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড শায়েস্তাগঞ্জে বাইসাইকেলের সাথে ধাক্কা লেগে মোটর সাইকেল চালক নিহত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত মাধবপুরবাসী শায়েস্তাগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেফতার

বিশ্ব মুসলিম মেনে নেবে না ‘বাবরি মসজিদ’-এর স্থানে রাম মন্দিরের রায়:বাবুনগরী

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৩২০ বার পঠিত

নিউজ ডেস্ক।। বিশ্ব মুসলিমদের হৃদয়ের স্পন্দন বাবরি মসজিদের ভূমি মালিকানার ব্যপারে মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে দেয়া ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কড়া সমালোচনা করে এর

তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

৯ ই নভেম্বর শনিবার রায় পরবর্তি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় আল্লামা বাবুনগরী বলেন,কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার গায়ের জোরে

ভারতীয় হিন্দুদের পক্ষে এই রায় ঘোষণা করে বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আ`ঘাত করেছে।এ রায় বিশ্বমুসলিম কখনো মেনে নেবে না।আমরা এ রায় প্রত্যাখান করছি।

তিনি বলেন,প্রথম মুঘল সম্রাট জহির উদ্দিন শাহ্ বাবরের শাসনামলে ১৫২৮ সালে বর্তমান ফৈজাবাদ জেলার অন্তর্গত অযোধ্যায় বাবরের সেনাপতি মীর বাকি কর্তৃক

বানানো বাবরী মসজিদ ৫০০’শ বছরেরও পুরনো একটি মসজিদ।
মসজিদ নির্মাণের সময় অথবা পরে এ সম্পর্কে স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে কোনো বিরূপ

প্রতিক্রিয়া ছিল না।পরবর্তীতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অযোধ্যাকে রামের জন্মভূমি দাবী করে সর্বশেষ ১৯৯২ সালে মুসলিম স্থাপনের অনন্য নিদর্শন বাবরী মসজিদকে শহীদ করা হয়েছে।

অযোধ্যা রামের জন্মভূমি নয় উল্লেখ করে আল্লামা বাবুনগরী বলেন,গবেষণায় প্রমাণিত-অযোধ্যায় কোথাও রাম জন্মভূমির হদিস মেলেনি। ১৯৭৫ সালে ভারতের প্রত্মতত্ত্ব

বিভাগের সাবেক ডাইরেক্টর বিবি লালের নেতৃত্বে বাল্মীকির রামায়ণে উল্লিখিত পাঁচটি শহরে অনুসন্ধান চালানো হয়। বাবরি মসজিদের পেছনেই ১১ মিটার গভীর পরিখা খনন

করা হয়। অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ নভেম্বর:১৯৮৮ ইং ভারতের সানডে মেইল
এবং ১৫ ই জানু:১৯৮৯ ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকায় গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয়।প্রবন্ধ দু’টির প্রতিপাদ্য ছিলো,উল্লিখিত স্থানটি রামের জন্মস্থান নয়।

সত্যান্বেষী অনেক হিন্দুরাও বাবরি মসজিদের ঐতিহাসিক সত্যতা স্বীকার করেছেন। কিন্তু ভারতের তৎকালীন সরকারপ্রধান নরসিমা রাও শুধু রাজনীতির স্বার্থে উগ্রবাদী

হিন্দুগোষ্ঠীকে কাছে পাওয়ার অভিপ্রায়ে পবিত্র মসজিদ ভাঙার মতো জঘন্য কাজে ইন্ধন জুগিয়েছিল।সুতরাং রামের জন্মভূমির মিথ্যা ও ভূয়া স্লোগান তুলে বাবরী মসজিদের

জায়গায় রাম মন্দির করার কোন মানে হতে পারে না।তাই সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে বিশ্বমুসলিম ঐক্যবদ্ধ হয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা সময়ে অপরিহার্য ঈমানী দায়িত্ব।

কোর্টের রায়ে বিকল্প হিসেবে অন্যত্র বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি প্রদান করার ব্যপারে আল্লামা বাবুনগরী বলেন,অমুসলিমদের
দেওয়া জায়গায় মুসলমানদের ইবাদতের পবিত্রময় স্থান মসজিদ হতে পারেনা।অন্যত্র নয় বাবরী মসজিদের স্থানে-ই পুণঃরায় বাবরি মসজিদ স্থাপনের রায় দিতে হবে।

মসজিদ আল্লাহ তায়া’লার ঘর,পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট জায়গা।মুসলিম উম্মাহর ইবাদতের পবিত্র স্থান।যেখানে একবার মসজিদ নির্মাণ হয় তা সর্ব সময়ের জন্য মসজিদের

হুকুমেই থেকে যায়।সেই জায়গার পবিত্রতা রক্ষা করতে হয়।বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণ করা হলে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হবে।এ রায় মসজিদের সাথে অবমাননার শামিল।যা কোন মুসলমান মেনে নিতে পারে না।

আজ মুসলমানদের পবিত্র স্থানে রাম মন্দির করার রায় দিয়ে মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে উগ্রবাদী মোদি সরকার।বিশ্বমুসলিম শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও বাবরি

মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণের ষড়যন্ত্র বাস্তবায় হতে দেবে না।অনতিবিলম্বে এ রায় বাতিল না করলে প্রয়োজনে পরামর্শক্রমে লক্ষ কোটি তৌহিদী জনতাকে নিয়ে বাবরি

মসজিদ অভিমুখে লংমার্চ করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com