সুনামঞ্জ সংবাদদাতা :: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু ইমন হত্যা মামলার সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আহমদ মঞ্জুর মোর্শেদের অবশিষ্ট জেরা সম্পন্নের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়।
মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ২১ জানুয়ারি ৩৪২ ধারামতে আসামি পরীক্ষা করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর।
তিনি জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তার মঞ্জুর মোর্শেদের জেরা শেষ না হওয়ায় সোমবার তাকে আবার জেরা করা হয়। আসামী জাহেদ, রফিক, সুজন ও পলাতক আসামি ছালেহ আহমদের পক্ষে প্রায় তিন ঘন্টা জেরা করেন তাদের আইনজীবী। ওইসময় আহমদ মঞ্জুর মোর্শেদ শিশু ইমন অপহরণ, হত্যা, মুক্তিপণ আদায়, তদন্ত কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে জবাব দেন।
ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে। ৮ এপ্রিল মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের ‘হত্যাকারী’ ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। ছাতকের বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। একজন ছাড়া গ্রেফতার করা হয় জড়িত বাকিদের। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন। মামলার বাদী জহুর আলী আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার আশা করছেন।
Leave a Reply