শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বানিয়াচংয়ে কুশিয়ারা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ॥ সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আমি সাংবাদিক ছিলাম।আমাকে সাংবাদিকতা শিখাতে হবেনা। চুনারুঘাটে ভোক্তা’র পরিচালক দেবানন্দ। শহরতলীর আলম বাজারে স্ট্যান্ড দখল নিয়ে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত বানিয়াচঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ॥ আহত অর্ধশত চুনারুঘাটে ছাত্র আন্দোলনে হামলায় গ্রেফতার আব্দুল কদ্দুসকে কারাগারে প্রেরণ আজমিরীগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ৫০ ॥ আটক ৩ সুরমা চা-বাগানে ৩০ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক মাধবপুর সীমান্তে আটক ৬ অনুপ্রবেশকারী জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে চুনারুঘাটে নিহত রাজু মিয়ার বাড়ি পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার

শোকাবহ জেল হত্যা দিবস আজ

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৩১৩ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৩ নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপদ প্রকোষ্ঠে ঢুকে একদল দুষ্কৃতকারী হত্যা করে জাতীয় চার নেতাকে। পচাঁত্তরের পনেরই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ৮০ দিনের মাথায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামরুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীকে কারাগারের ভেতরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এর আগে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ঘাতকদের ইচ্ছায় গঠিত মন্ত্রিসভায় যোগদানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এই চার নেতা। যার কারণে বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাক আহমদের শাসনামলে তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের হত্যার জন্য সেখানে ঘাতকদের পাঠানো হয়। তাদের হত্যা করার আগে সেখানে দায়িত্বরত কারারক্ষীরা বাধা দিলে মোশতাকের পক্ষ থেকে নির্দেশ আসে ঘাতকদের কাজে সহায়তা করার জন্য। ঘাতকরা ভেতরে গিয়ে চার নেতাকে একত্র করে গুলি চালিয়ে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।

১৫ আগস্টের খুনিচক্রই জেলহত্যাকাণ্ড ঘটায়। তারা খবর পেয়েছিল, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীরই একটি অংশ পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। জেলহত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়ে তারা বিদেশে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। জেলহত্যার ঘটনা তদন্তে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠিত হলেও সেটি স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারেনি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলাও দায়ের হয়েছিল। এর সবকিছুই কার্যত বাতিল বা বন্ধ হয়ে যায় একই বছরের ৭ নভেম্বর আরেকটি সেনা অভ্যুত্থানের ওপর ভর করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর।

তিনি বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা হত্যার ঘটনার তদন্ত ও বিচারের কোনো উদ্যোগ নেননি। বরং এসময় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়। চার নেতা হত্যার বিচারে কোনও আইনগত বাধা না থাকলেও সে প্রক্রিয়াও বন্ধ ছিল দীর্ঘ ২১ বছর। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ইনডেমনিটি আদেশ বাতিল হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার হত্যার বিচারের পথ সুগম হয়।

২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর নিম্ন আদালত এই মামলার রায়ে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ে মৃতু্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই পলাতক আসামিকে বেকসুর খালাস এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া চার জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আসামিদের খালাস করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বাতিল এবং বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল দুই আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে রায় দেন। এই দুই আসামি পলাতক থাকায় বিচারের রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com