স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জ শহরের আব্দুল মন্নান ও সেফালী খাতুনের অত্যাচার ও মারপিট থেকে বাচার জন্য সংবাদ সম্মেলন করলেন শহরের শ্যামলী এলাকার মৃত শামছু মিয়া পুত্র মাহাবুবুর রশিদ ও তার মা খায়রুন নেছা। গতকাল রবিবার দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন ৮ বছর পুর্বে শহরের সুলতান মাহমুদ পুরের গোলাম হোসেনের কন্যা শেফালী খাতুনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শেফালীর সন্দেহজনক ভাবে চলাফেরা শুরু করে। মোবাইল ফোনে থাকে ব্যস্ত। এমনকি পরকিয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। তাকে অনেক বুঝানোর পরও সে শান্ত হয়নি। উপরোন্ত আরও বেপরুয়া হয়ে উঠে। অবশেষে আমি নিরুপায় হয়ে তাঁর সম্পূর্ণ পাওনা দাওনা দিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারী ১২ইং তারিখে শেফালীকে তালাক দেই। এদিকে শেফালী আমি বাড়িতে না থানার সুযোগে তার মামা উমেদ নগরের আব্দুল মন্নানকে নিয়ে আমার বাসায় এসে আমার মাকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে আমার সর্বস্ব লুটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমার মা খায়রুন্নেছা সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ভর্তি হয়। এ ঘটনায় তাদের উপর একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় শেফালী ও আব্দুল মন্নান আমার বাসা নিয়ে একটি ভুয়া দলিল তৈরি করে। এ ঘটনায় আমার বড় ভাই হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে চীফ জুডিসিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় জামিনে এসে তারা শেফালী ও মন্নানসহ তাদের লোকজন আমাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রাণে হত্যার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এমনকি তারা আমাদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে প্রচার করছে। তাই এ সংবাদ মম্মেলনের মাধ্যমে তারা বাচার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আইন শৃংখলা বাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের মাধ্যমে উল্লেখিতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তী দাবী করেন তারা।
Leave a Reply