সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চুনারুঘাটে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ॥ টাকাসহ স্বর্ণলংকার লুটপাট মাধবপুরে ডাকাতি করতে গিয়ে দুই ডাকাত আটক হবিগঞ্জে নৌকা পেতে মরিয়া জেলার ৪টি আসনের আ.লীগ প্রার্থীরা আজমিরীগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে খুটি ও মালামাল জব্দ চুনারুঘাটে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে দি জাপান হসপিটালের ডা. এসকে ঘোষ, আরিফসহ ৪ জন কারাগারে সারা দেশে বিএনপি-সমমনাদের তৃতীয় দফার অবরোধ চলছে আউশকান্দিতে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষ ॥ ৫ জন আহত মাধবপুরে মেধাবী শিক্ষার্থী বন্যার মৃত্যু জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মাধবপুরে গৃহবধুর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

বানিয়াচঙ্গে স্ত্রী-শ্বাশুরি হত্যার রহস্য উদঘাটন ॥ শ্বশুর-শ্যালককে নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার মাকে খুন করে জামাতা শেলু

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২৮৫ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ অবশেষে স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মূল হোতা সেলু মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। পরে সেলু তার স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে হত্যার লোমহর্ষক জবানবন্দি আদালতে প্রদান করে। গতকাল বুধবার রাতে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামে আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। ঘাতক স্বামী সেলু মিয়ার জবান বন্দিতে বেড়িয়ে এসেছে ডাবল মার্ডারের চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। রাত ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রায় ২ বছর পূর্বে হবিগঞ্জ পৌর এলাকার উমেদনগর গ্রামের নূর মিয়ার পুত্র সেলু মিয়ার সাথে ২য় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে হয় বানিয়াচং উপজেলার তারাসই গ্রামের ফুল মিয়ার বোন ফুলবরণ নেছার। বিয়ের পর তাদের সংসার কিছুদিন সুখে শান্তিতে কাটলেও সম্প্রতি পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াধি নিয়ে দেখা দেয় কলহ। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। এক পর্যায়ে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। মামলা দায়ের করা হয় স্বামী সেলু মিয়ার বিরুদ্ধে। মামলা আপোষ করতে স্বামী সেলু মিয়া চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। এরপর থেকেই সেলু মিয়া তার ১ম স্ত্রীর স্বজনদের সহায়তায় ২য় স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। এক পর্যায়ে ৫ সেপ্টেম্বর ২য় স্ত্রী ফুলবরণ নেছা ও তার মাকে সাথে নিয়ে আদালতে আসার জন্য পূর্বের দিন বিকালে শহরতলীর উমেদনগরস্থ তার চাচাতো ভাই এনামুলের বাসায় রাত কাটায়। পরদিন এনামুলের বাসায়ও বিষয়টি আপোসের কথাবার্তা হয়। কিন্তু তাতেও কোন ফল মিলেনি। এছাড়াও ওই দিনই এ বিষয় নিয়ে সেলু মিয়াকে তার বাবা গালিগালাজ করে। এর পর সন্ধ্যার দিকে সেলু তার ২য় স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে নিয়ে নতুন বাসায় ভাড়া দেয়ার কথা বলে শহরতলীর গোবিন্দপুর যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি ভাড়া করে। এসময় সেলু তার ১ম স্ত্রীর পিতা তাজুল মিয়াসহ কয়েকজনকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। সিএনজি নিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে বেরিবাঁধ এলাকায় পৌছলে সিএনজি আটকিয়ে স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে খোয়াই নদীর চরে নির্ঝন স্থানে নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে অজ্ঞান করে। এক পর্যায়ে স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে কুপিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ঘাতকরা মা’ মেয়ের লাশ খোয়াই নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর গত ৮ সেপ্টেম্বর বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের শতমুখা এলাকার খোয়াই নদী থেকে স্ত্রীর ও ১৯ সেপ্টেম্বর একই ইউনিয়নের বাজুকা এলাকা থেকে শ্বাশুড়ির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর পুলিশ মোবাইল ফোনের ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে খুনীকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে।

প্রেস বিফ্রিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজু আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, ডিবি পুলিশের ওসি এমরান আহমেদ, মানিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com