মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মাধবপুর সীমান্তে আটক ৬ অনুপ্রবেশকারী জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে চুনারুঘাটে নিহত রাজু মিয়ার বাড়ি পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার চুনারুঘাট থানায় ব্যারিস্টার সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ ॥ নিরাপত্তা জোরদার চুনারুঘাট ও মাধবপুরে ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক মাধবপুরে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে নারীসহ আটক ৫ নবীগঞ্জে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল চুনারুঘাটে সাবেক এমপির গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী আহত ॥ অতঃপর ফাঁকাগুলি মাধবপুরে ভারতীয় শাড়িসহ ৩ কোটি টাকার চোরাই পন্য জব্দ লাখাইয়ে বিনামূল্যে বিতরণকৃত ধান-বীজ দোকানে রাখার দায়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সিলেটের ওসমানীনগরে পিতার লালসার শিকার কন্যা

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ৩৯০ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্টঃ সিলেটের ওসমানীনগরে দীর্ঘদিন ধরে লম্পট পিতার লালসার শিকার হচ্ছে মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক শিশুকন্যা (১৪)।

উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকদারা (নোয়া গাঁও) গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন লম্পট পিতা মাসুক মিয়া (৪২)। এ ঘটনায় ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন শিশুর চাচী সুরেতুন বেগম।

জানা যায়, নির্যাতনের শিকার শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির আবাসিক শিক্ষার্থী। গত রমজানের ছুটিতে বাড়ি এসে প্রায় দেড়মাস অবস্থান করে। এ সময় তার পিতা নিয়মিত তাকে জোরপূর্বক নির্যাতন করতেন। ভয়ে বিষয়টি গোপন রেখে মেয়েটি আবারো মাদ্রাসায় ফিরে যায়। পরবর্তীতে গত ঈদুল আযহার ছুটিতে বাড়ি এলে আবারো তার ওপর যৌন নির্যাতন চালান লম্পট পিতা। এতদিন ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখলেও গত বৃহস্পতিবার শিশুটি বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি তার বড় চাচী সুরেতুন বেগমকে জানায়। এঘটনায় রবিবার শিশুটির চাচী সুরেতুন বেগম শিশুটিকে নিয়ে থানায় হাজির হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত মাসুক মিয়া।

সুরেতুন বেগম জানান, প্রায় ৬বছর পূর্বে মাসুক মিয়ার প্রথম স্ত্রী ৪ কন্যা সন্তান রেখে মারা গেলে তিনি আরো দুটি বিয়ে করেন। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় পরের বিয়েগুলো ভেঙে যায়। নির্যাতিত শিশুসহ তারা তিন বোন মাদ্রাসায় থেকে লেখাপড়া করছে এবং ছোটটি আমার (সুরেতুনের) কাছে রয়েছে।গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা থেকে ফিরে শিশুটি (নির্যাতিতা) এই ঘটনাটি খুলে বললে আমি স্থানীয় মেম্বারকে অবগত করে পুলিশের শরনাপন্ন হই।

নির্যাতনের শিকার শিশু বলে, আমার বাবা রমজানের আগ থেকে জোর করে আমার সাথে খারাপ কাজ করছেন। ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি। শেষ পর্যন্ত ছোটবোনের টানে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি এসে রাতে চাচীর ঘরে অবস্থান করে চাচীকে ঘটনাটি খুলে বলি।

ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি নিজেই তদন্ত করে দেখছি। নির্যাতনের শিকার শিশুর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) প্রেরণ করা হয়েছে। মাসুক মিয়াকে ধরতে পুলিশী অভিযান চালানো হচ্ছে।
সুত্রঃ আজকের সিলেট

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com