হবিগঞ্জ সংবাদদাতাঃ হবিগঞ্জ শহরের কামড়াপুর থেকে সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে প্রাণকোম্পানীর এক কিশোরী শ্রমিককে গণধর্ষনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে আটক সোহেল রানা (২২)। সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, গতকাল শুক্রবার বিকেলে সোহেল রানাকে আদালতে পাঠালে সে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ঘটনার পুরো বর্ণনা দেয়। এবং তার সাথে যারা জড়িত তাদের নাম প্রকাশ করে। পরে তাকে আদালত কারাগারে প্রেরন করেন। সে উপজেলার আশেড়া গ্রামের বায়জীদ মহুরীর পুত্র। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার তার বাড়ি থেকে সোহেল রানাকে আটক করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় বানিয়াচঙ্গ উপজেলার বাল্লা গাজীপুর গ্রামের তঞ্জু মিয়ার সপ্তদর্শী কন্যা অলিপুর প্রাণকোম্পানীর নারী শ্রমিককে কামড়াপুর ব্রীজ থেকে কর্মস্থলে পৌছানোর কথা বলে নিতাইরচক গ্রামের আব্দুস সামাদের পুত্র সিএনজি চালক আব্দুর রশিদ তার সহযোগী সোহেল রানা গাড়িতে তুলে নিয়ে রাস্তার পাশে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এসময় টহলরত পুলিশ আব্দুর রশিদকে আটক করলেও তার সহযোগী পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। এ ঘটনায় তঞ্জু মিয়া বাদী হয়ে সদর থানার একটি মামলা দায়ের করে। গত বৃহস্পতিবার আব্দুর রশিদ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। এদিকে, ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে সে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শনিবার তার আদালতে জবানবন্দি দেবার কথা রয়েছে। ওসি মাসুক আলী আরও জানান, অভিযুক্ত দু’জনই আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মামলাটির মূল রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ সক্ষম হয়েছে।
Leave a Reply