স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জে সরকারের খাদ্যশস্য সংগ্রহের আওতায় ধান চাল সংগ্রহে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা। মঙ্গলবার সিলেটের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নির্দেশে এ কমিটি গঠন করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. আবদুস ছালাম। ৩ সদস্যে এ কমিটিতে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় বাহুবল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নজীর আহমেদকে। কমিটির সদস্যরা হলেন-খাদ্য পরিদর্শক প্রতাব কুমার সাহা ও খাদ্য পরিদর্শক কালিপদ সাহা। এ কমিটিকে ৭ দিনের ভিতরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. আবদুস ছালাম জানান, সম্প্রতি সিলেটের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ রোডস্থ মেসার্স এসএন অটো রাইছ মিলের স্বত্বাধিকারী শংকর পাল মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল সরবরাহের ব্যাপারে অনিয়মের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিলেটের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। অটো রাইচ মিল ব্যবসায়ী শংকর পাল তার অভিযোগে উল্লেখ করেন তার মিলের সমক্ষমতা সম্পন্ন মেসার্স জনতা ড্রাইয়ার অটোমেটিক রাইচ মিল। এ মিলের পাক্ষিক ক্ষমতার ৪৬৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দের স্থলে ১হাজার ৪২৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই স্থলে মিলটির মালিক উক্ত মিলের নামের পূর্বে বরাদ্দকৃত চালই সরবরাহ করেননি। কিন্তু উক্ত মিলের নামে অতিরিক্ত চাল বরাদ্দ প্রদান করে নীতিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন-তার মিলটি চালু করতে ১৭০ কিলোওয়াট বিদ্যুত প্রয়োজন হয় এবং তার মিলে ৪৬৬ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন করতে ৫লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৭ টাকা বিদ্যুত বিল বাবদ ব্যয় হয়েছে। পক্ষান্তরে জনতা ড্রাইয়ার অটোমেটিক রাইচ মিল এ ১লাখ ১৯হাজার ৯৯৮ টাকা বিলে কি ভাবে ১হাজার ৪২৯ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন সম্ভব এ বিষয় নিয়ে তিনি সন্দেহ পোষন করেন। তিনি এ বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান। তিনি অভিযোগের অনুলিপিত হবিগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালকের কাছে দিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
Leave a Reply