হবিগঞ্জ সংবাদদাতাঃ শহরের পরিচিত মুখ সবার প্রিয় ডুম ছাবু মামা (৫৫) আর নেই। এদিকে মর্গে লাশ নিয়ে পুলিশ পড়েছে বিপাকে তবে শুনা যাচ্ছে ছাবু মামার শীর্ষ তাজুল ইসলাম কিংবা চুনারুঘাটের কালা মতিন পেতে পারেন দায়িত্ব। গতকাল শুক্রবার ভোর ৬ টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। এ খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে সদর হাসপাতালে পড়ে শোকের ছাড়া। তাকে এক নজর দেখার জন্য পুরাতন হাসপাতাল কোয়ার্টারে তার অস্থায়ী বাসভবনে সহকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ ভীড় করেন। দুপুর ১২ টায় তার লাশ বাসায় নিয়ে আসা হয়। জুম্মার নামাযের পর কোর্ট সমজিদে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহকর্মী, সাংবাদিক, রাজনৈতিবীদসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহন করেন। জানাযা শেষে তার লাশবাহী কপিন শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাও’র কুঞ্জবন তার শ্বশুর বাড়ী পীরের মাজারের পাশে আসরের নামাযের পর ২য় জানাযা শেষে দাফন করা হয়। জানা যায়, তার বাড়ী বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামের। তিনি ৩৫ বছর যাবত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গের প্রধান ডুম হিসেবে লাশ কাটার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ১ পুত্র ও স্ত্রী এবং অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন।
অপর একটি সুত্র জানায়, ডুম ছাবু মিয়ার মৃত্যুতে পুলিশ সদস্যরা পড়েছেন বিপাকে। বিভিন্ন স্থান থেকে আগত লাশ গুলোর ভীড় হচ্ছে মর্গে। তিনি মারা যাওয়ার তার শীর্ষ তাজু মিয়া বলছেন ‘উস্তাদ নেই, আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে। পরিবর্তে আমি নিজেই তার দায়িত্ব পালন করতে চাই’। অন্যদিকে চুনারুঘাটের ডুম কালা মতিন বলে, ‘আমি ২০ বছর ধরে মর্গের সাথে আছি, তাই এখানে আমারও হক্ব আছে। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিলে আমি যথাযত ভাবে দায়িত্ব পালন করব।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রতিন্দ চন্দ্র্র দেব জানান, ডুম ছাবু মারা যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি তবে নিয়োগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত ছাবুর দুই শীর্ষ তাজু এবং মতিন মিয়া দায়িত্ব পালন করবেন। কর্ম দক্ষতা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া হবে।
Leave a Reply