স্টাফ রিপোর্টারঃ নবীগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে রাতের আঁধারে গ্রেফতারী পরোয়াভুক্ত আসামীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন নবীগঞ্জ থানার এসআই ও কনস্টেবলসহ ৫ জন পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ উঠেছে আসামীর স্বজনদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের পাঞ্জারাই গ্রামে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহতরা হলো নবীগঞ্জ থানার এসআই সাইফুল ইসলাম, এসআই নাজমুল ইসলাম, এএসআই রুহুল আমীন, কনস্টেবল সজিব আলী ও নজমুল ইসলাম। তাদেরকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে ৫ জন গ্রেফতারী পরোয়াভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের পাঞ্জারাই গ্রামে অভিযান চালায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই গ্রামে হাওড়ে অবস্থিত খালিক মিয়ার বাড়িতে আব্দুল আলিমসহ ৫ জন আসামী আছে এমন খবর পেয়ে থানার এসআই নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ওই ঘরে আব্দুল আলীমসহ ৩ জন আসামী রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে ঘরের চার দিক ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘরে প্রবেশের প্রস্তুতি নিলে বেশ কয়েকজন মহিলাসহ বাড়ির লোকজন ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করে। এতে আশপাশের লোকজন লাটিসোঠা নিয়ে এসে পুলিশের উপর হামলা করে। এই সুযোগে ঘরে থাকা আসামীরা পালিয়ে যায়। এ সময় উপরোল্লিখিত পুলিশ সদস্যরা আহত হন। পরে রাত প্রায় ৩ টার দিকে তাদেরকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার বিকেলে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে ওই গ্রামে ঝটিকা অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামী ও হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, পাঞ্জারাই গ্রামের খালিক মিয়ার বাড়িতে ৩ ভাই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হয়। এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন পুলিশের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply