স্টাফ রিপোর্টারঃ নবীগঞ্জে সৈয়দ আজিজ হাবিব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করেছে বখাটেরা। আশংকাজনক অবস্থায় ইয়াসমিন আক্তারকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই বখাটেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। আটককৃতরা হল, উপজেলার বাংলা বাজার নোয়াগাও গ্রামের আফাছ উদ্দিনের পুত্র আব্দুর রহিম ও সেকুল মিয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় গতকালও ইয়াসমিন আক্তার তার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৈয়দ আজিজ হাবিব উচ্চ বিদ্যালয়ে যায়। স্কুল থেকে ফেরার পথে পথিমধ্যে আব্দুর রহিম ও সেকুল মিয়া ইয়াসমিন আক্তারকে উত্যক্ত করে। এসময় ইয়াসমিন তাদের কে বাঁধা দিলে উত্তেজিত হয়ে উঠে তারা। এক পর্যায়ে বখাটেরা ইয়াসমিনকে এলোপাতারি ভাবে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে এবং বখাটেদের আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বখাটেদের থানায় নিয়ে যায়। তবে অপর একটি সূত্র জানায়, ইয়াসমিন আক্তারের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াধি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল আফাছ উদ্দিনের। এরই জের ধরে তার পুত্র এ হামলা চালিয়েছে।
এ ব্যাপারে স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ খালেদুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি পুলিশকে অবগত করি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দুই জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নবীগঞ্জ থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরধরে এ ঘটনা ঘটেছে। দুইজনকে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অপরদিকে, ইয়াসমিন আক্তারের উপর বখাটেদের হামলার ঘটনায় দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে তার সহপাঠীরা।
Leave a Reply