ডেস্ক রিপোর্টঃ বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যাকাণ্ডে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সাথে প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে রাতে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ৪ ও মামলার সন্দেহভাজন ১০ জনকে গ্রেফতারের পর ১৬৪ ধারায় দিতে জবানবন্দি আদালতে পাঠানো হয়। এছাড়া ও মোট চারজনকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আনা হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, এ মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তে মামলার ১ নম্বর আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ডেকে এনে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুদীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের আড়াল করতে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। তাকে গ্রেফতারের দাবিতে শ্বশুর দুলাল শরীফের করা সংবাদ সম্মেলনের বিপরীতে রোববার নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মিন্নি।
শ্বশুরের দাবিকে ভিত্তিহীন বলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে মিন্নি বলেন, আমার শ্বশুর অসুস্থ। তিনি কখন কী বলেন তার কোনো ঠিক নেই। আমার শ্বশুরকে দিয়ে কোনো মহল স্বার্থ হাসিল করার জন্য আমাকে পেচিয়ে মামলাটি হালকা করার চেষ্টা করছে। যাতে আসামিরা ছাড়া পেয়ে যেতে পারে। আর আমার যদি নয়নের সঙ্গে বিয়েই হবে তবে যখন রিফাতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তখন নয়ন কেন বাধা দেয়নি।
মিন্নি অভিযোগ করেন, যারা বরগুনায় ‘বন্ড ০০৭’ নামে সন্ত্রাসী গ্রুপ সৃষ্টি করিয়েছিল, তারা খুবই ক্ষমতাবান ও বিত্তশালী। নেপথ্যের এই ক্ষমতাবানেরা বিচারের আওতা থেকে দূরে থাকা ও এই হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য শ্বশুরকে চাপ দিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করিয়েছেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, ‘নয়ন বন্ড একজন মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে অনেক মামলা ছিল। সে আমাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করত। আমার ছোট ভাই ও বাবাকে হত্যার হুমকি দিত। এ জন্য তার বিরুদ্ধে কখনো মুখ খোলার সাহস পাইনি।’
সুত্রঃ নয়া দিগন্ত
Leave a Reply