নুর উদ্দিন সুমন : হবিগঞ্জের বাহুবলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের খেলায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের ওপর পরাজিত শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় হামলায় শিক্ষকসহ ২০জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৬জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জরিত এক ছাত্রকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাহুবল উপজেলা সদরে এঘটনা ঘটে। হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেবক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও হামলার ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সূত্রে জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আমন্ত্রণ জানায় উপজেলা প্রশাসন । অনুষ্ঠানে মিরপুরের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সানশাইন প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড হাইস্কুল এবং দি হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অংশগ্রহণ করে ৪টি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়। এসময় বিজয়ী শিক্ষার্থীরা আসার পথে উল্লাস করলে বাহুবল সদরে অবস্থিত দীননাথ হাইস্কুলের পরাজিত শিক্ষার্থীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীরা আহত হয়। এবং তাদের বহনকারী ২টি বাস ভাংচুর হয়। এঘটনার খবর মিরপুর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকসহ জনসাধারনের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা দেয়। এমনকি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন মিরপুর সানসাইন হাইস্কুল ও দি হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে এসে সমবেদনা জানান এবং ঘটনার সুস্থ তদন্তের আশ্বাস দেন। এদিকে এঘটনা বাহুল ছাড়াও দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়লে স্যোসাল মিডিয়াসসহ অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে ঝড় উঠে। অনেকেই ন্যক্কারজনক এহামলার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এর জের ধরে দীননাথ সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিরপুরের সানশাইন প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড হাইস্কুল এবং দি হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই প্রতিষ্ঠানের অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতরা হল সানসাইন স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্র রাশেদ আহমেদ ইমন, মোগল আপন, ৮ম শ্রেনীর তানভীর আহমেদ শুভ, ৭ম শ্রনীর নাবিল হোসেন, শিক্ষক আতাউর রহমান উজ্জল, দি হোপ ইন্টারন্যাশনালের দশম শ্রেনীর ছাত্রী সুমাইয়া মেহজাবীনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জসীম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একটি বাঁশি নিয়ে তাদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। একজনকে আটকও করা হয়েছে। প্রয়োজনে এ ঘটনায় মামলা হবে। জানাগেছে বাহুবলে প্রতিবছরই এধরনের হামলার ঘটনা ঘটে যার কারনে এবছর মিরপুর এফএন হাইস্কুল ও মিরপুর গার্ল্স স্কুল এন্ড কলেজসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনাতা অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি। এনিয়ে মিরপুর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
Leave a Reply