আজিজুল হক নাসির ঃ ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার সহ দামী পোষাক-প্রসাধনী ফিরিয়ে দিয়ে সততার পরিচয় দিয়েছেন এক সিএনজি চালক। ওই সিএনজি চালক হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের মৃতঃ আঃ গমফুরের পুত্র আঃ মালেক। জানা যায়, গত ১৮ মার্চ বেলা সাড়ে এগারোটায় চুনারুঘাট উপজেলার রাজার বাজার থেকে সদাই করতে চুনারুঘাট বাজারে যান উপজেলার ছয়শ্রী গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আঃ মতলিবের প্রবাসী পুত্র জুয়েল আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী। চুনারুঘাট পৌঁছে তারা সঙ্গে থাকা মালামাল বহনকারী ব্যাগটি সিএনজিতে রেখে নেমে নিজেদের কাজে চলে যান। ড্রাইভার সিএনজি নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বাড়িতে চলে যান। গাড়ি গেরেজে রাখার সময় ব্যাগটি তার নজরে আসে। তিনি ব্যাগটি নিয়ে ঘরে রাখেন। তার স্ত্রী ব্যাগে থাকা স্বর্ণালংকার ও দামী শাড়ী-প্রসাধনী দেখতে পান। ব্যাপারটা স্বামীকে অবগত করেন। আঃ মালেকের ব্যাগটির মালিকদের কথা স্বরণ হয়। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ব্যাগে কি আছে না আছে তা না জানিয়ে শুধু ব্যাগ পাওয়ার ব্যাপারটা অবগত করেন। মালেকের স্ত্রী ব্যাগের মালিকের সন্ধান পাওয়া গেলে দু-রাকাত নফল নামাজ আদায় ও একটি নফল রোজা রাখার মানত করেন। মালেক বিভিন্ন জায়গায় মালিকের কাছে সংবাদটি যেন পৌঁছে তার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। সকালে সায়েস্তাগঞ্জ গ্যাস পাম্পে গ্যাস সংগ্রহ কালে আমুরোড বাজারের সিএনজি চালক রাজিব মিয়ার সাথে কথোপকথনের এক পর্যায়ে ব্যাগের মালিকের বড় ভাই ফরিদ আহমেদের ফোন নাম্বার পেয়ে তিনি ব্যাগের প্রকৃত মালিকের সন্ধান পান। মালিককে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাদের মালামাল যেভাবে ছিল সেভাবে ফেরত দেন। ফরিদ আহম্মদ বলেন, আমি মালেকের সততা এবং মাতৃ ভক্তি দেখে মুগ্ধ হই। আঃ মালেক বলেন, মালামাল ফেরত দিতে পেরে আমি চিন্তা মুক্ত হয়েছি। অন্যের মাল আমার গাড়িতে ভুলে ফেলে রেখে গেছে তাতে স্বর্ণ না হিরে তা আমার দেখার বিষয় নয়।
Leave a Reply