নুর উদ্দিন সুমন।। চুনারুঘাট হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত চুনারুঘাট থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান এর সার্বিক সহযোগীতায় স্পোর্টস ভিলেজ কাবাডি প্রতিযোগিতা ও দাঙ্গা প্রতিরোধ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার মধ্যে হা-ডু-ডু(কাবাডি) ছিল একসময় বেশ জনপ্রিয় খেলা। আধুনিকতার ছোঁয়া ও কালের বিবর্তনে এখন বিভিন্ন খেলার চাঁপে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী জাতীয় এই খেলা। তাই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী (কাবাডি) ধরে রাখতে এবং দাঙ্গা প্রতিরোধে খেলা ধুলায় মনোযোগী হতে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ আয়োজনে “খেলাদুলায় বাড়ে বল, দাঙ্গা ছেড়ে খেলতে চল’’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এক কাবাডি প্রতিযোগিতা বুধবার ডিসিপি হাই স্কুল মাঠে বেলা ৩টায় কাবাডিপ্রতিযোগিতা-২০১৯ শুরু হয়েছে। ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ২৭ মার্চ চূড়ান্ত খেলার মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতা শেষ হবে। ওসি (তদন্ত) আলী আশরাফ এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসআই শেখ আলী আজহার এর পরিচালনায় বক্তব্য দেন নালুয়া চা বাগানের বড় বাবু, আবুল বাশার তালুকদার, সৌদি প্রবাসী নুরুল ইসলাম ফটিক, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডাঃ সিরাজুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ, রিমন তরফদার, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিটি ইউনিয়ন দল নেতা, এসআই অলক বড়ুয়া, ৬নং সদর ইউনিয়নের এসআই জাহাঙ্গীর কবির, ৯নং রানিগাও ইউনিয়নের শেখ আলী আজহার, ৪নং পাইক পাড়া ইউনিয়নের এসআই হানিফ,এএসআই বাতেন, এএসআই রবিউল প্রমুখ ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, কাবাডি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। কিন্তু দূর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য এই জনপ্রিয় খেলাটি হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাকে কেড়ে নিয়েছে, তেমনি নতুন প্রজন্মকে ক্রমেই ঠেলে দিচ্ছে অপরাধের দিকে। ফলে ভবিষ্যত বাংলাদেশ মেধাশূন্য হওয়ার পথে। তাই দাঙ্গা ও মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে লেখা পড়ার পাশা-পাশি খেলা ধুলায় মনোযোগী হতে হবে। এবিষয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, খেলা মানুষের মন ও দেশ স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ক্রিকেট, ফুটবলের মতো প্রত্যেক এলাকায় কাবাডি টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হলে কাবাডি তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। এসব খেলার জায়গায় স্থান দখল করেছে ফেইজ বুক, কেরাম, ক্রিকেট, টিভি ও কম্পিউটার গেমস। আমাদের এসব দেশীয় খেলাগুলো ধরে রাখতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে, আর তা না হলে কেবল বইয়ের পাতায় রয়ে যাবে এসব দেশীয় খেলা। পরবর্তী প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা কেবল বইয়ের পাতায়ই এসব খেলা নাম পড়বে। তাই ঐতিহ্যবাহী খেলাটিকে টিকিয়ে রাখতে সবার প্রতি আহবান জানান। ওই খেলায় ৬নং সদর ইউনিয়ন দলকে হাড়িয়ে ১০নং মিরাশি দল ২২পয়েন্ট অর্জন করে খেলার দ্বিতীয় রাউন্ডে সুযোগ পেয়েছে। খেলোয়াড়দের দলনেতা হিসেবে ছিলেন মিজানুর রহমান সুহাগ, ৬নং সদরের দলনেতা ছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুলাল মেম্বার,খেলার রেপাফরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাইফুর রহমান।শেষ বিকালে খোলা আকাশের নিচে খেলা দাড়িয়ে হাজারো নারী-পুরুষ আনন্দরে সাথে খেলাটি উপভোগ করেন।
Leave a Reply