নুর উদ্দিন সুমন ॥ প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা তিন জন সহকারী পরিচালক বাজার তদারকি কার্যক্রম চালিয়েছেন ৭৫০ টিরও বেশি দোকানে। ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্ঘনের কারণে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করা হয়েছে প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা জরিমানা। পাশাপাশি শুধু অভিযোগ দায়ের করে জরিমানার ২৫% হিসেবে ভুক্তভোগীরা পেয়েছেন প্রায় ৮৬ হাজার টাকা। শুক্রবার বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ। তিনি জানান, ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের প্রধান প্রধান বাজার থেকে শুরু করে প্রত্যুন্ত অঞ্চলের হাটবাজারে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সভা-সেমিনার, গণশুনানী, পথসভার মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তিনি জানান, ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে জানানোর উদ্দেশ্যে এ পর্যন্ত হবিগঞ্জ জেলায় ২০ হাজার লিফলেট, পোস্টার, পাম্পলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি কোন অভিযোগকারী অভিযোগ দায়ের করলে তা দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে অভিযোগকারীকে জারিমানা টাকার ২৫ শতাংশ হিসেবে পুরস্কারও প্রদান হচ্ছে। আগামীতে এসব কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে বলেও জানান সহকারী পরিচালক। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রাশাসন কর্তৃক আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মাননীয় জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণয়নের পর থেকে ভোক্তা অধিকার রক্ষায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হাট বাজারে মূল্য তালিকা প্রদর্শন, ভেজাল ও নকল মুক্তকরণ, ভোক্তাদের সঙ্গে সকলধরণের প্রতারণা বন্ধ এবং স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করেত হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন দৃড় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের তদারকি কার্যক্রমের পাশাপাশি ব্যাপক প্রচারণা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে সচেতনতার বিকল্প নাই। আলোচনায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যক্রম বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান অব্যহত থাকবে। এসময় তিনি ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যক্রমের তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক পৌর মেয়র শহীদ উদ্দিন চৌদুরীসহ আরো অনেকে। আলোচনা সভা শেষে অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত রচনা প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply