স্টাফ রিপোার্টার ॥বাহুবলে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তোফায়েল মিয়া (২০) নামে এক লম্পটকে আটক করেছে র্যাব। গত শনিবার দিবাগত রাত ১টার সময় শ্রীমঙ্গল র্যাব-৯এর একটি দল হবিগঞ্জ শহরের বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন। সে বাহুবল উপজেলার বাঘেরখাল গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র। র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ২১ ফেব্র“য়ারি রাতে আটক তোফায়েলসহ তার বন্ধুরা ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। ২৪ ফেব্র“য়ারি ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে পাঁচজনের নামোল্লেখ করে বাহুবল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর এ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আসামি তোফায়েলকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক তোফায়েল র্যাবকে জানায়, ঘটনার অনেক আগেই তোফায়েল, মামুন, তাদের আরেক বন্ধু ও এক পাহারাদার ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে মামুন ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। তারপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ ফেব্র“য়ারি ওই স্কুলছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে জোরপূর্বক অস্ত্রেও মুখে তাকে সিএনজিতে তুলে মামুন, তোফায়েল, শিপন। বৃন্দাবন চা-বাগান এলাকার পাশের নির্জন পাহাড়ে নিয়ে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তোফায়েল ও মামুনসহ অন্যরা। ধর্ষণ শেষে তারা মেয়েটি বাড়ির কাছাকাছি পাশে একটি রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তোফায়েল আরও জানায়, এ কিশোরী ছাড়া আরও তাদের একাধিক তরুণীকেও প্রেমের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণের পরিকল্পনা ছিলো। র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, ধর্ষক তোফায়েল আত্মগোপনের জন্য গত ২০ দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেরিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য সে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকে। পরে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে তাকে আটক করা হয়। অন্যদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply