প্রথম সেবা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের পবিত্র সংবিধান এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় সদাপ্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী খোলা জিপে করে প্যারেড (কুচকাওয়াজ) পরিদর্শন এবং অভিবাদন (সালাম) গ্রহণ করেন। মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেশের সম্পদ এবং দেশের মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের মূর্তপ্রতীক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেশাদারিত্বের কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের জন্য আপনাদেরকে দক্ষ, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সত্ এবং মঙ্গলময় জীবনের অধিকারী হতে হবে।’ জনগণের সেবা করার জন্য সেনাবাহিনীকে তার সরকার সবসময় পাশে পেয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার সময়ে যখনই প্রয়োজন হবে তখনই সেনাবাহিনী জনগণের পাশে এসে দাঁড়াবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
নারীর ক্ষমতায়নে তার সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে ২০১০ সালে সর্বপ্রথম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে নারী অফিসার ও ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম নারী সৈনিক ভর্তির যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর একজন নারী ডাক্তারকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের নারী কর্মকর্তাকে লে. কর্নেল পদে পদোন্নতি প্রদান ও ইউনিট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টসহ সকল সেনা সদস্যদের মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে তার সরকারের উদ্যোগসমূহ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের প্রশিক্ষণ, প্রশাসন, আবাসনসহ একটি আধুনিক ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে গড়ে তুলতে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। বর্তমান ট্রেনিং ও প্রশাসনিক সুবিধা বৃদ্ধির আরও কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে রাজশাহী সেনানিবাসের হেলিপ্যাডে পৌঁছেন। এরপর তিনি প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছেন। এসময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টের জিওসি এবং এরিয়া কমান্ডার এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের কমান্ড্যান্ট প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপেদষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক (অব.), নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এ এম এম এম আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা ও ড. চৌধুরী মো. জাকািরয়া, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ বজলার রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এস এম আব্দুল কাদের, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক সেনাপ্রধানবৃন্দ, বিদেশি কূটনীতিক এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সুত্রঃ ইত্তেফাক
Leave a Reply