প্রথম সেবা ডেস্কঃ অনুমোদিত ইটভাটা ছাড়া ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) বিল, ২০১৯’। পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন গতকাল মঙ্গলবার সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। একাদশ জাতীয় সংসদে পাস হওয়া এটিই প্রথম বিল। বিলটিতে পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে অটোব্রিকস উত্সাহিত করারও বিধান রাখা হয়েছে।
বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। তবে তাদের সেই প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। ওই প্রস্তাব উত্থাপনকালে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ফসলি জমি নষ্ট করে যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন করা হচ্ছে। যে কারণে পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ এ ধরনের ইটভাটা বন্ধ করে সারাদেশে অটোব্রিকস স্থাপন করা গেলে পরিবেশের ক্ষতি অনেকটা কমানো সম্ভব হবে।
জবাবে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, নতুন আইনে অটোব্রিকসকে উত্সাহিত করার বিধান রাখা হয়েছে। কারণ একটি অটোব্রিকস-এ একদিনে এক লাখ ইট উত্পাদন করা সম্ভব। আর বছরের ৩৬৫ দিনই ওই ভাটায় ইট উত্পাদন করা যায়। আর এটা করা গেলে সারাদেশে এত ইটভাটার প্রয়োজন হবে না। নতুন আইন পরিবেশ সুরক্ষায় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি কৃষির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ‘টপ সয়েল’ রক্ষাসহ ইটভাটাজনিত পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়। পাস হওয়া বিলে বিধান লঙ্ঘনজনিত অপরাধের জন্য কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ওই সকল বিধি-বিধান লঙ্ঘনজনিত অপরাধে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে ইটভাটার ক্ষেত্রে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যে কোনো ইটভাটায় ছিদ্রযুক্ত ইট প্রস্তুতের নির্দেশনা জারি করতে পারবে বলে বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ইটভাটা স্থাপনে বিধিনিষেধ জারির ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে সরকারকে।
সৌজন্যেঃ দৈনিক ইত্তেফাক
Leave a Reply