নুর উদ্দিন সুমন ঃ স্কুলে বছরের পর বছর ধরে অনুপস্থিত থাকায় বৈরাগী পুঞ্জি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর। অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন বৈরাগী পুঞ্জির প্রধান শিক্ষক আমিনা খাতুন ঝুনু, সহকারী শিক্ষিকা সীমা নাথ, মোঃ আজাদ হাসান চৌধুরী,হেনা আক্তার, তারা কেন স্কুলে নিয়মিত যান না তাদেরকে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত তাদের বেতন ও সরকারী সকল সুযোগ-সুবিদা বন্ধের সুপারিশ করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক। জানা যায়, স্কুলে না গিয়েও সুবিধা নিচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকা বিদ্যালয়গুলোতে বছরের পর বছর ধরে শিক্ষকরা অনুপস্থিত, অথচ সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। তাদের ওপর প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া থাকায় কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছেন । এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। স্কুলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে তিনজন নারী শিক্ষক ৩ জনই প্রায় সময় অনুপস্থিত ১জন পুরুষ শিক্ষক ডেপুটেশনে গরমছড়ি স্কুলে ছিলেন । তিনি সদ্য যোগদান করেন বৈরাগী পুঞ্জিতে। নারী শিক্ষকরা মাঝেমধ্যে স্কুলে না গিয়ে খাতায় হাজিরা দিয়ে আসেন, স্কুলে তেমন শিক্ষার্থীরাও নেই, যেকজন রয়েছে স্থানীয় মৌলভীকে দিয়ে ক্লাস করানো হচ্ছে। স্কুল গিয়ে দেখা গেছে দুপুর ১টার আগেই শ্রেণিকক্ষগুলোতে ঝুলছে তালা। স্কুলে নারী শিক্ষকরা নাথাকলেও মিলেছে পুরুষ শিক্ষক আজাদ হাসানকে তার সাথে আলাপকালে জানাগেছে তিনি ২০০৬ সালে প্রথম যোগদান করেন যোগদানরে পর হতে বেশদিন যাবত সুনামের সহিত শিক্ষকতা করেছেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকার স্কুল ফাঁকি ও বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় নিয়ে তাদরে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। বিষয়টি তৎকালিন শিক্ষা অফিসার হাসান জুনাঈদ জানতে পেড়ে বিরোধ সমাধানের লক্ষে আাজাদ হাসানকে বদলি করেন। পরবর্তীতে আজাদ হাসান গরমছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেণ। পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার চলতি বছরের ৯ জানুয়ারী ডেপুটেশন বাতিল করে বৈরাগী পুঞ্জি স্কুলে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রদান করেন আজাদ হাসানকে। এদিকে তাদের স্কুল ফাঁকির বিষয়টি বিগত ২১ জানুয়ারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ রানাসহ তাদের প্রতিনিধি দল স্কুলে গিয়ে থালাবদ্ব দেখতে পান। এর পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষকরা তাদের অপকর্ম ডাকতে তারা বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেন। আজাদ মাষ্ঠার জানায় , দোষাদোষী করে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়। এনিয়ে আজাদ মাষ্টার সীমা নাথ, ও কতিথ শিক্ষক মৌলভী আব্দুর রউফকে আসামী করে চুনারুঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এঘটনায় তাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকান সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এবিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ ছাদেক মিয়ার সাথে মোবাইলে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আব্দুর রউফ মৌলভীকে শিক্ষকদের সহযোগীতার জন্য রেখেছেন, তিনি তাহার বেতন দেন, তাদরে কাছ থেকে কোন টাকা নেন না। এছাড়া তাদেরে মধ্যে বিরোধ নিয়ে তিনি সমাধান করার চেষ্টায় রয়েছেন , কিন্তু আজাদ মাষ্টার খুবই খারাপ তার কমান্ড সে মানেনা বলে জানান। এবিষয়ে অভিযুক্ত মৌলভী আব্দুর রউফ বলেন আমি শিক্ষক দের সহযোগীতা করি সব দায়িত্ব সে পালণ করছে ম্যানেজিং কমিটির নির্দেশে। প্রধান শিক্ষিকা আমিনা খাতুনের ফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া জায়নি তবে শিক্ষা অফিস জানায় সে স্কাউটের জন্য ছুটিতে ছিল। সহকারী শিক্ষিকা সীমা নাথের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে , স্কুলে নিয়মিত আসি দাবী করে বলেন স্কুলে তেমন ছাত্ররা নেই , আমাদেরকে সহযোগীতা করেন হুজর, আমার নিরাপত্তার জন্য কিছু সময় স্কুলে ছিলাম না ম্যানেজিং কমিটির বাসায় ছিলাম, তখন হয়তো আপনি ছিলেন স্কুলে, কেমন নিরাপত্তা জানতে চাইলে জানাতে অনিহা প্রকাশ করে সরারি স্কুলে যতে বলেন। এবিষয়ে হেনা ম্যাডাম বলেন এ দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেতে আমার ভয় করে কারণ আমাদের সহকর্মীদের মধ্যে দ্বন্ধ কখন জানি অজানা দুর্ঘটনা ঘটে যায়,আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থও, তাই আমি স্যারকে বলে বড়আব্দা স্কুলে অছি। সুস্থ হলে বৈরাগী পুঞ্জিতে যোগদান করবো। এবিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলে ‘মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে সরকার কঠোর অবস্থানে। কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড়া দেবার সুযোগ নেই তাদের বিরুদ্ধে একাদিক অভিযোগ পেয়েছি গত ২১জানুয়ারি তাদের অনুপস্থিতির সত্যতা পাওয়া যায় । তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।তাদের মামলা চলমান। দপ্তর থেকে তাদের তালিকা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুনারুঘাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদ রানা বলেন আমরা নির্ধারিত সময়ের আগে ছুটি দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি ইতি মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে আজাদ ও সীমার উভয়ের অভিযোগ রয়েছে তদন্ত চলছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। চুনারুঘাট থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন অভিযোগ পেয়েছি তাদেরে শিক্ষা দপ্তরকে সমন্বয় করে তদন্ত ক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply